নীতীশ কুমারের ‘বিশ্বাসঘাতকতা’র কথা জনতাকে জানাতে রাস্তায় নামবে আরজেডি। দলীয় সূত্রে খবর, ২৭ অগস্ট পটনার গাঁধী ময়দানে সমাবেশের আগে বিহারের বিভিন্ন প্রান্তে ছোট ছোট সভা করবেন তেজস্বী প্রসাদ। চম্পারণ থেকে যাত্রা শুরুর কথা রবিবার টুইটে জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁর কথায়, ‘‘নীতীশ কুমার বিহারের জনাদেশকে হত্যা করেছেন। মানুষ এনডিএ-এর বিরুদ্ধে রায় দিয়েছিল। তিনি তাদের সঙ্গেই হাত মেলালেন।’’
বিহারে পালাবদলের পর কোপ পড়ল প্রশান্ত কিশোরের উপরেও। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রাতে রাজ্য মন্ত্রিসভার দ্বিতীয় বৈঠকে তাঁর ক্যাবিনেট পদমর্যাদা কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিহার বিকাশ মিশন কমিটি আপাতত কাজ করবে না। ২০১৫-তে নীতীশ কুমারের নির্বাচনী পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল প্রশান্তের। তাঁকে বিহারে ধরে রাখতে তৎপর হয় সরকার। প্রশান্তকে ক্যাবিনেট পদমর্যাদা দিতে বিহার বিকাশ মিশন তৈরি হয়। বিজেপি আপত্তি তুলেছিল।
বিহারে সময় দিতে পারছিলেন না প্রশান্ত। উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনের সময় থেকে নীতীশের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ে। উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব ও উত্তরাখণ্ডে কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচারের অনেক দায়িত্ব সামলেছিলেন প্রশান্ত।
গত ২০ মাসে বিহার বিকাশ মিশনের মাত্র দু’টি বৈঠকে তিনি হাজির ছিলেন। তা নিয়ে আমলা মহলে ক্ষোভ ছিল। এ নিয়ে লালুপ্রসাদ বলেন, ‘‘বিহারের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনা পরম্পরায় প্রশান্তও দুঃখিত। ওঁর সঙ্গে অন্যায় হয়েছে।’’
এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ দিন সমস্ত জেলায় অবৈধ বালি খাদানের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে পুলিশ। ২৯টি পোকলন (বালি তোলার উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন যন্ত্র)-সহ রাত পর্যন্ত প্রায় ১০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। মনের এলাকায় ভেঙে দেওয়া হয় মদ তৈরির ভাটি। অভিযোগ, ওই সমস্ত অবৈধ কাজে মদত ছিল আরজেডি-র এক বিধায়কের। ওই বিধায়কের ভাইপোর নামে এফআইআর-ও করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy