কর্মসূচি থাকলেও পাথারকান্দি বাইপাস, লোয়াইরপোয়া-কানমুন সড়কের শিলান্যাস করতে করিমগঞ্জে এলেন না পূর্তমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য।
সংবাদমাধ্যমে সড়ক শিলান্যাসের বিজ্ঞাপন, অনুষ্ঠানের ফলকে মন্ত্রীর নাম লেখা ছিল। কিন্তু আজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী না থাকায় গুঞ্জন ছড়াল। পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল দু’টি সড়কের শিলান্যাস করেন। জেলাশাসক প্রশান্তকুমার মহন্তের পৌরোহিত্যে অনুষ্ঠিত সভায় কৃষ্ণেন্দুবাবু বলেন, ‘‘বিজেপি সরকার উন্নয়ন চায়। ক্ষমতায় আসার ৪ মাসের আগেই করিমগঞ্জে দু’টি রাস্তার শিলান্যাস করা হল। আগের কোনও সরকারের আমলে এমন কিছু হয়নি।’’ রাস্তার কাজে কোনও দুর্নীতি বরদাস্ত হবে না বলেও আশ্বাস দেন স্থানীয় বিধায়ক। অনুষ্ঠানে দক্ষিণ করিমগঞ্জের ইউডিএফ বিধায়ক আব্দুল আজিজ খানও গরহাজির ছিলেন। মঞ্চে ছিলেন তাঁর ভাই টুনু খান। বিরোধী শিবিরের বক্তব্য, মন্ত্রী হওয়ার এত মাস পরও করিমগঞ্জের রাস্তাঘাটের হাল ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছেন পরিমলবাবু। সমালোচনা এড়াতেই এ দিন রাস্তার শিলান্যাসে আসেননি পূর্তমন্ত্রী।
এক পক্ষের বক্তব্য, করিমগঞ্জ থেকে বদরপুর যাওয়ার রাস্তার দুর্দশায় সমস্যার মুখে সাধারণ মানুষ। তা নিয়ে করিমগঞ্জ জেলা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য সম্প্রতি সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে অসম ও নয়াদিল্লির আমলাদের একাংশের সমালোচনা করেছেন। পুরনো বেহাল রাস্তার মেরামতি না করে নতুন রাস্তার শিলান্যাস করলে সমালোচনার মুখে পড়তে হবে— সেই আশঙ্কাতেই এ দিনের অনুষ্ঠানে আসেননি বিভাগীয় মন্ত্রী। তবে পূর্তমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিশেষ কাজে গুয়াহাটি যাওয়ার জন্য তিনি রাস্তার শিলান্যাসের যেতে পারেননি। উল্লেখ্য, দু’টি রাস্তা তৈরিতে কাজে ১০০ কোটি টাকা খরচ বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy