দু’-একটা নয়। বিএলও বা বুথ স্তরের অফিসারদের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় ৬০টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ, বিএলও হিসেবে নিয়োগ করা সত্ত্বেও তাঁরা নিজেদের এলাকায় যাননি। উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নির্দেশ পালন করেননি। তাৎপর্যপূর্ণ হল, নয়ডার গৌতমবুদ্ধ নগরের জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচন আধিকারিক মেধা রূপম এই নির্দেশ দেন। তিনি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের কন্যা।
মাস তিনেক আগেই মেধাকে কাসগঞ্জ থেকে গৌতমবুদ্ধ নগরের মতো গুরুত্বপূর্ণ জেলার দায়িত্ব দিয়েছিল যোগী আদিত্যনাথ সরকার। এ বার ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনে (এসআইআর) তাঁর কঠোর মনোভাব নিয়ে রাজনৈতিক শিবিরে চর্চা তুঙ্গে উঠেছে।
সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে, জেলাশাসক মেধার নেতৃত্বে নয়ডার তিন মহকুমাশাসক বিএলও-দের বিরুদ্ধে ৬০টি এফআইআর দায়ের করেছেন। জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে বিএলও হিসেবে নিযুক্ত শিক্ষক, শিক্ষিকা, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। বিএলও-দের সঙ্গে সাত জন সুপারভাইজ়রের বিরুদ্ধেও এফআইআর হয়েছে। তার আগে তাঁদের বেতন বন্ধ করা ও শৃঙ্খলাভঙ্গের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে সতর্ক করা হয়েছিল।
প্রশাসনের এই কঠোর পদক্ষেপের পরেই নয়ডায় বিএলও হিসেবে নিযুক্ত স্কুল শিক্ষিকা পিঙ্কি সিংহ চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। নয়ডার সেক্টর ৯৪-এর প্রাথমিক স্কুলের এই শিক্ষিকার দাবি, তিনি স্কুলের চাকরি এবং এসআইআর-এর কাজ একসঙ্গে সামলাতে পারছেন না। যদিও তাঁর দায়িত্বে থাকা ১১৭৯ ভোটারের মধ্যে ২১৫ জন ভোটারের তথ্য তিনি অনলাইনে জমা করেছিলেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)