অসমে নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নবীকরণের ক্ষেত্রে এখনও ৪০-৪৫ শতাংশ পরিবারের নথি-পরীক্ষা শেষ হয়নি। প্রকৃত কোনও নাগরিক যাতে এনআরসি তালিকা থেকে বাদ না পড়েন, সে জন্য বাড়ি বাড়ি পরীক্ষক দল পাঠানো হচ্ছে। এনআরসি অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শতাংশের হিসেবে তা বড় বলে মনে হলেও উদ্বেগের কারণ নেই। কোনও পরিবারের এক জন সদস্যের একটি মাত্র নথি পরীক্ষা না হলেও তিনি ওই হিসেবে ঢুকে পড়ছেন। পাশাপাশি ঢুকছে সংশ্লিষ্ট পরিবারের নামও।
এনআরসি আধিকারিকদের বক্তব্য, এমন অনেক পুরনো নথি জমা করা হচ্ছে, যার কোনও প্রমাণপত্র বর্তমান সরকারের কাছে নেই। জমির দলিল, খাজনার রসিদের মতো নথিতে অন্য সমস্যা। মূল নথির প্রতিলিপিতে নাম-তারিখ কখনও একেবারে অস্পষ্ট। মূল নথি দেখে ওই জটিলতা কাটাতে পরীক্ষকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে একাধিক আবেদনকারী একই নথি দেখিয়েছেন। সে সব অসঙ্গতির কারণও খতিয়ে দেখা হবে।
তবে পরীক্ষকরা কোনও নথি কারও বাড়ি থেকে নিয়ে যাবেন না— সে কথা জানিয়ে দিয়েছেন এনআরসি কর্তারা। যাঁদের নথি পুনঃপরীক্ষা করা প্রয়োজন, তাঁদের নামের তালিকা এনআরসি সেবাকেন্দ্রে রাখা হয়েছে। চা জনগোষ্ঠী ও উপজাতি আবেদনকারীরা পুনঃপরীক্ষা থেকে রেহাই পাবেন। এনআরসি অফিস সূত্রে খবর, কোনও নথি দেখাতে না পারলেও তাঁরা ‘আদি বাসিন্দা’ হিসেবে গণ্য হবেন। ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেল তথা সেনসাস কমিশনার শৈলেশ বলেন, ‘‘প্রকৃত ভারতীয়ের নাম যেন এনআরসি-তে বাদ না পড়ে, সে জন্য সম্ভাব্য সব রকম ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’ অসমে এনআরসি-র নোডাল অফিসার প্রতীক হাজেলাও বিষয়টিকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখতে বলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy