Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

জমির অধিকারে নাগাদের লড়াইয়ে নামার ডাক

অরুণাচল-অসম-মণিপুরের নাগা অধ্যূষিত এলাকায় নাগাদের জমির অধিকারের দাবিতে নাগা সংগঠনগুলিকে লড়াইয়ে নামার ডাক দিল এনএসসিএন (আইএম)। এমনিতেই মণিপুরে নাগা এলাকাগুলিতে সমান্তরাল স্বশাসনের দাবিতে লড়াই চালাচ্ছে ইউনাইটেড নাগা কাউন্সিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৫ ০৩:৫৫
Share: Save:

অরুণাচল-অসম-মণিপুরের নাগা অধ্যূষিত এলাকায় নাগাদের জমির অধিকারের দাবিতে নাগা সংগঠনগুলিকে লড়াইয়ে নামার ডাক দিল এনএসসিএন (আইএম)। এমনিতেই মণিপুরে নাগা এলাকাগুলিতে সমান্তরাল স্বশাসনের দাবিতে লড়াই চালাচ্ছে ইউনাইটেড নাগা কাউন্সিল। এ নিয়ে প্রায়ই চলছে বন্‌ধ-অবরোধ। পাশাপাশি, জোকু উপত্যকা নিয়েও নাগাল্যান্ড-মায়ানমারের মধ্যে চাপান-উতোর চলছে। এর মধ্যেই কেন্দ্রের সঙ্গে বৃহত্তর নাগালিমের দাবিতে আলোচনা চালানো জঙ্গি সংগঠনের এমন দাবি মণিপুরে জটিলতা আরও বাড়াল। এর পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী ওক্রাম ইবোবি সিংহ আজ সাফ জানান, ‘‘রাজ্য সরকার মণিপুরের ভৌগোলিক ক্ষেত্রে কোনও পরিবর্তন মেনে নেবে না।’’

আইএম জানিয়েছে, নাগাদের দীর্ঘ ইতিহাসে তারা কখনও ভারত বা বর্মার অধীনে থাকার জন্য চুক্তিবদ্ধ ছিল না। নাগাদের মত না নিয়েই তাদের বিভিন্ন রাজ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। তবে ভারত সরকারের সঙ্গে তাদের শান্তি আলোচনা সঠিক পথে এগোচ্ছে। এই অবস্থায় অসম, মণিপুর বা অন্য কোনও রাজ্য যেন নাগাদের জমিতে নিজেদের দখলদারি প্রতিষ্ঠা করতে না চায়। নাগারাও অন্যদের জমি দাবি করবে না।

আইএম বিবৃতিতে বলেছে, অসমের ডিমা হাসাও ও যোরহাট জেলার নাগা পাহাড়গুলি জবর দখল করে সেখানে অ-নাগাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে অসম সরকার। উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে বাংলাদেশি, বিহারিদের সেই সব এলাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মণিপুরের মোরে, ইয়াংপোকপি ও অন্যান্য টাংখুল নাগা এলাকায় অ-নাগারা জোর করে দখলদারি চালাচ্ছে। তামেংলং জেলায় প্রয়োজনের বেশি সেনা মোতায়েন করেছে সরকার। সেনাপতি জেলা ভেঙে সদর হিল জেলা তৈরি করা হয়েছে। অরুণাচলের প্রতি তাদের অভিযোগ, অরুণাচল সরকার ইচ্ছাকৃত ভাবে নাগা অধ্যূষিত তিরাপ, চাংলাং ও লংডিং জেলার নোকটে, ওল্লো, টাংসা, টুটসা ও ওয়াংচো উপজাতিদের নাম থেকে নাগা শব্দটি মুছে দিয়েছে। তিন রাজ্যের সরকারের এমন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে নাগাদের রুখে দাঁড়ানোর ডাক দিয়েছে আইএম।

তবে উত্তর-পূর্বের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, খাপলাং গোষ্ঠী যে ভাবে সেনা কনভয়ে হানা দিয়ে শিরোনামে উঠে এসেছে, তাতে শঙ্কিত আইএম গোষ্ঠী। সেই কারণেই এই ধরনের গরম বিবৃতি দিতে তারা বাধ্য হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE