কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অনন্ত কুমার। ছবি- সংগৃহীত।
যত নষ্টের গোড়া ইসলাম ধর্মই। ওই ধর্মের মূলোচ্ছেদ না হলে বিশ্বে সন্ত্রাসবাদকে নিকেশ করা যাবে না।
কোনও হিন্দু ধর্মগুরু নন। কথাটা বলেছেন কেন্দ্রীয় দক্ষতা উন্নয়ন ও শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অনন্ত কুমার। তাঁকে প্রকাশ্যে বলতে দেখা গিয়েছে, ‘‘পৃথিবীতে যত দিন ইসলাম ধর্ম থাকবে, থাকবে সন্ত্রাসবাদও। ইসলাম ধর্মের মূলোচ্ছেদ না করা গেলে সন্ত্রাসবাদকে নিকেশ করা যাবে না।’’
কথাগুলি যে মুখ ফসকে বেরিয়ে যায়নি কর্নাটকের বিজেপি নেতা অনন্তকুমারের, তাও স্পষ্ট ভিডিও ফুটেজে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘সুযোগ পেলে আমি যা বলছি, ঠিক সেটাই লিখুক মিডিয়া। যা বলছি, ঠিক সেটাই দেখানো হোক টেলিভিশনে। বিশ্বশান্তির পক্ষে ইসলাম ধর্ম বড়ই বিপজ্জনক। একটা বোমা। ইসলাম ধর্ম থাকলে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যাবে না।’’
This minister says ..”Islam should be wiped out in this world” ..so when he talks of HINDUTVA does he mean it’s a way of life...#justasking pic.twitter.com/UtgZyat6Dz
— Prakash Raj (@prakashraaj) December 7, 2017
গত বছরের ওই ভিডিওটি তাঁর টুইটারে অভিনেতা প্রকাশ রাজ এ দিন শেয়ার করার পরপরই সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওটি শেয়ার করে প্রকাশ তাঁর টুইটে লিখেছেন, ‘‘মন্ত্রী বলেছেন, ‘পৃথিবী থেকে ইসলাম ধর্মকে শেষ করে দেওয়া উচিত’... তা হলে যখন তিনি হিন্দুত্বের কথা বলেন, তখন কি তিনি বলতে চান যে, সেটাই জীবনের একমাত্র মন্ত্র?’’
জাতীয় পুরস্কার জয়ী অভিনেতা প্রকাশ রাজ তাঁর টুইটে এও লিখেছেন, ‘‘কে আপনারা? আপনারা কি নতুন অবয়বে সেই জার্মানির হিটলারই?’’
বিতর্ক অবশ্য কখনওই পিছু ছাড়তে চায় না ৪৯ বছর বয়সী মন্ত্রী অনন্ত কুমারকে। এ সপ্তাহের গোড়ায় কিত্তুরে একটি জনসভায় তিনি অশ্লীল ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়াকে। তার জন্য মানহানির একটি মামলা দায়ের হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন- রাজস্থানের ‘লাভ জেহাদ’ হত্যাকাণ্ডে ক্ষতিপূরণ, চাকরির ঘোষণা মমতার
আরও পড়ুন- মার্কিন ড্রোন ঢুকলেই গুলি, নির্দেশ পাক বায়ুসেনাকর্তার
শেষ বারের রদবদলের সময় অনন্ত কুমারকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আনেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পরেই একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, মন্ত্রী গলা টিপে ধরে দেওয়ালে ঠেসে এক চিকিৎসককে চড় মারছেন। মন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, ওই চিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তি তাঁর মায়ের চিকিৎসায় গাফিলতি দেখিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy