বছর কুড়ির বেপরোয়া তরুণের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল হোলির রং কিনতে বেরোনো এক মহিলার। গুরুতর জখম আরও চার জন। গুজরাতের বরোদার করেলিবাগের মুক্তানন্দ ক্রস রোডে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। গাড়ির চালক তরুণকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মনে করা হচ্ছে, মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিল সে। তার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। চালকের পাশের আসনে বসেছিল গাড়িটির মালিক আর এক তরুণ। গ্রেফতার করা হয়েছে তাকেও।
এ দিকে, দুর্ঘটনার পরের একটি ভিডিয়ো ক্লিপ (সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে সমাজমাধ্যমে। তাতে দেখা যাচ্ছে, গাড়ির সামনের অংশ দুমড়ে গিয়েছে। ভিতর থেকে বেরিয়ে এসে সেটির সামনে দাঁড়াল কালো টি-শার্ট আর ধূসর ট্রাউজ়ার্স পরা এক তরুণ। আকাশের দিকে হাত ছুড়ে অসংলগ্ন ভাবে চেঁচাতে শুরু করল, “আর এক বার, আর এক বার” বলে। ওই ভাবে চিৎকার করতে করতেই রাস্তা দিয়ে হাঁটতে থাকে। কয়েক মুহূর্ত পরে চিৎকার শুরু করে ‘ওম নমঃ শিবায়’ বলে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক জন তাকে ধরে ফেলেন। তাতেও তার চিৎকার থামে না। এরই মধ্যে গাড়িতে থাকা অন্য জন বেরিয়ে এসে ছুটে পালানোর চেষ্টা করে। চিৎকার করে বলতে থাকে, ‘আমি কিছু করিনি, গাড়ি ও চালাচ্ছিল’। দুর্ঘটনাস্থলে তখন ছড়িয়ে ছিটিয়ে জখমেরা পড়ে আছেন।
পুলিশ সূত্রের জানা যাচ্ছে, গাড়িটি রক্ষিত চৌরাশিয়া নামে উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর এক তরুণ চালাচ্ছিল। সে বরোদা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন পড়তে এসেছে। পেয়িং গেস্ট হয়ে থাকে বরোদায়। দুর্ঘটনার সময়ে গাড়িতে রক্ষিতের পাশের আসনেই বসেছিল সেটির মালিক মিত চৌহান নামে আর এক তরুণ। বরোদারই বাসিন্দা ওই তরুণ একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। তাকেও ধরা হয়েছে।
তদন্তকারীদের সূত্রে জানা যাচ্ছে, দুর্ঘটনার সময়ে ঘণ্টায় প্রায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে ছুটছিল গাড়িটি। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, দু’টি স্কুটারে ধাক্কা দিল সেটি। আরোহীদের হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে কিছু দূরে থামল। এর মধ্যে একটি স্কুটারের চালক মহিলার মৃত্যু হয়েছে ঘটনাস্থলেই। তাঁর নাম হিমানী পটেল। তিনি মেয়ের সঙ্গে হোলির রং কিনতে বাজারে গিয়েছিলেন। জখম হয়েছে হিমানীর মেয়ে-সহ চার জন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)