জম্মু ও কাশ্মীরের সোপিয়ানে ধরা পড়লেন জঙ্গিগোষ্ঠী হিজ়বুল মুজাহিদিনের এক সদস্য। তিনি জঙ্গি সংগঠনের ‘স্লিপার সেল’ হয়ে কাজ করতেন বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার কাশ্মীরের সোপিয়ানে হানা দেয় জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের তদন্তকারী শাখা ‘এসআইএ’। ওই অভিযানেই ধরা পড়েন আলতাফ হুসেন ওয়াগা নামে ওই সন্দেহভাজন জঙ্গি।
তদন্তকারী সংস্থা ‘এসআইএ’র এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সোপিয়ানের বাসিন্দা আলতাফ জঙ্গিগোষ্ঠী হিজবুল মুজাহিদিনের একজন ‘ওভার-গ্রাউন্ড ওয়ার্কার’ (ওজিডাব্লিউ)। ওজিডাব্লিউ বলতে বোঝায়, যে কাশ্মীরিরা জঙ্গিগোষ্ঠীকে আশ্রয়, নগদ বা অন্য কোনও উপায়ে সাহায্য করে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুসারে, আলতাফ ওই জঙ্গিগোষ্ঠীর ‘স্লিপার সেল’ হিসাবে কাজ করতেন বলেও সন্দেহ করছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। সূত্রের খবর, পূর্বের একটি মামলার তদন্তে আলতাফকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের তদন্তকারী সংস্থা ‘এসআইএ’ সূত্রে খবর, ওই মামলার তদন্তের সময়ে এমন কিছু নথি পাওয়া গিয়েছে, যা থেকে আলতাফের যোগসূত্রের ইঙ্গিত মিলেছে। আলতাফ তাঁর জঙ্গি ‘হ্যান্ডলার’ (যিনি আলতাফকে জঙ্গিগোষ্ঠীকে নিযুক্ত করেছেন)-এর নির্দেশে ভারত-বিরোধী প্রটার এবং বিভিন্ন ধরনের দেশবিরোধী কার্যকলাপের যুক্ত ছিলেন বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের।
আরও পড়ুন:
পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড এবং ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরবর্তী সময়ে জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর এলাকায় নজরদারি আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। কাশ্মীরের কোথাও জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে কি না, তা খুঁজে বার করতেও দফায় দফায় উপত্যকার বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চলেছে। সম্প্রতি শ্রীনগরে ‘অপারেশন মহাদেব’-এ পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিন জঙ্গি নিহত হয়েছে। তার পরে দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাঁও জেলার অখল জঙ্গলে জঙ্গিনিধনের জন্য ভারতীয় সেনা ‘অপারেশন অখল’ শুরু করে।
সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের উরিতে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের চেষ্টা আটকাতে গিয়ে নিহত হন ভারতীয় সেনার এক জওয়ান। গত ১২ অগস্ট বেশি রাতের দিকে বারামুলা জেলায় উরি সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। ভারতীয় সেনার জওয়ানেরা তাদের বাধা দিতেই শুরু হয় গুলির লড়াই। ওই সংঘর্ষে এক জওয়ান নিহত হন।