জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি।
আর কেউ নন। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই পারেন কাশ্মীর সমস্যা মেটাতে। কারণ, তাঁর সঙ্গে বিপুল জনসমর্থন রয়েছে।
শনিবার এ কথা বলেছেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। কাশ্মীরের মানুষকে সঙ্কটের আবর্ত থেকে বের করে আনার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে আবেদন জানান। মেহবুবার কথায়, ‘‘যদি আর কেউ কাশ্মীরের মানুষকে সঙ্কটের আবর্ত থেকে বের করে আনতে পারেন তো তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি যা সিদ্ধান্ত নেবেন, গোটা দেশ তাকে সমর্থন করবে।’’
শ্রীনগরে একটি ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করে এ দিন একটি জনসভায় জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ওঁর (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী) পিছনে বিশাল জনসমর্থন রয়েছে। ওঁর হাতেই রয়েছে সব ক্ষমতা। উনি লাহৌরে গিয়ে সে দেশের (পাকিস্তান) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন, কথা বলেছিলেন। এটা কোনও দুর্বলতার ইঙ্গিত নয়। এটা সাহস, শক্তি, সামর্থের প্রমাণ। এর আগের প্রধানমন্ত্রীও (মনমোহন সিংহ) দশ বছর ধরে পাকিস্তানে যাব যাব করেছেন। বলেছিলেন, সেখানে গিয়ে উনি (মনমোহন) ওঁর পুরনো বাড়ি দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু যাননি। উনি দু’দেশের বিরোধ মেটানোর চেষ্টা করতে পারতেন। চেষ্টা করতে পারতেন, দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির হাত থেকে কাশ্মীরের মানুষকে বাঁচাতে। কিন্তু সেটা করার সাহস তিনি দেখাতে পারেননি।’’
আরও পড়ুন- কাশ্মীরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জখম ২৫ ছাত্র
তবে এ ব্যাপারে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর সদিচ্ছাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এ দিন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, ‘‘এর রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনার কাজটা বরং শুরু করেছিলেন বাজপেয়ীজী আর কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুফতি মহম্মদ সঈদ (মেহবুবার বাবা)। ওঁরা এ ব্যাপারে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন। অনেকটা সফলও হয়েছিলেন। বাজপেয়ীজীর সময় ভারত-পাক সীমান্তে যুদ্ধবিরতি বেশ কিছু দিন স্থায়ী ছিল। কাশ্মীরে আডবাণীজীর সঙ্গে আলোচনাও এগিয়েছিল অনেক দূর পর্যন্ত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy