E-Paper

৪৮ ঘণ্টা আগেও অধরা বিরোধীদের আসন রফা

এই পরিস্থিতিতে বুধবার পটনা পৌঁছে রাতেই লালুপ্রসাদ ও তেজস্বী যাদবের সঙ্গে কংগ্রেস নেতারা বৈঠকে বসেন। শাকিল আহমেদ খানের বক্তব্য, “যা করার দ্রুত করতে হবে।”

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ০৯:৪৫
রাহুল গান্ধীর সঙ্গে তেজস্বী যাদব।

রাহুল গান্ধীর সঙ্গে তেজস্বী যাদব। ছবি: পিটিআই।

বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটের মনোনয়ন শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে পর্যন্ত বিরোধীদের ‘মহাগঠবন্ধন’ আসন রফায় পৌঁছতে পারল না। ফলে কংগ্রেস, আরজেডি, সিপিআই-এমএল লিবারেশন বা বিকাশশীল ইনসান পার্টির মতো কোনও শরিক দলই নিজেদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি। আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব অবশ্য আজ রাঘোপুরে লালুপ্রসাদ-রাবড়ি দেবীর উপস্থিতিতে নিজের মনোনয়ন জমা দিয়ে ফেলেছেন। বিরোধীদের মহাজোটে বেশ কিছু আসনে শেষ পর্যন্ত ‘বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই’ হতে পারে বলে সব দলই মনে করছে। অর্থাৎ কিছু আসনে একাধিক শরিক প্রার্থী দেবে।

এই পরিস্থিতিতে বুধবার পটনা পৌঁছে রাতেই লালুপ্রসাদ ও তেজস্বী যাদবের সঙ্গে কংগ্রেস নেতারা বৈঠকে বসেন। শাকিল আহমেদ খানের বক্তব্য, “যা করার দ্রুত করতে হবে।”

সূত্রের খবর, ২৪৩ আসনের বিধানসভায় আরজেডি-র জন্য ১৩৫টি আসন নির্দিষ্ট করে কংগ্রেস নিজে ৬০টি আসনে লড়তে চাইছে। কিন্তু আরজেডি চাইছে কংগ্রেস নিজের ভাগ থেকে ১০টি আসন মুকেশ সাহনির বিকাশশীল ইনসান পার্টি বা ভিআইপি-কে দিক। আরজেডি নিজে আটটি আসন ভিআইপি-কে ছাড়তে তৈরি। আরজেডি-র নিজের কিছু নেতা ভিআইপি-র প্রতীকে লড়তে পারেন। মঙ্গলবার রাতে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠকে প্রায় ৫০টি আসনে দলের প্রার্থী চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বাকি ১০টি আসনের ক্ষেত্রে শরিকদের সঙ্গে বিবাদ থাকায়, তা কংগ্রেস-তেজস্বী আলোচনা করার পরেই ঠিক হতে পারে।

তেজস্বীর সঙ্গে বৈঠক করতে কংগ্রেসের বিহারের ভারপ্রাপ্ত নেতা কৃষ্ণ অল্লাভুরু, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজেশ রাম ও কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা শাকিল আহমেদ খান পটনায় পৌঁছে দেখেন, সেখানে আগে থেকেই কংগ্রেসের কিছু কর্মী কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে টিকিট বিলির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এরই মধ্যে নির্দল সাংসদ পাপ্পু যাদবের এক ঘনিষ্ঠকে তাঁরা মারধর করেন বলে অভিযোগ। দলের নেতাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানো হয়।

প্রার্থী তালিকা ঘোষণা না হলেও লালুপ্রসাদ আজ থেকেই বেশ কিছু আরজেডি নেতাকে দলের প্রতীক সংক্রান্ত শংসাপত্র বিলি করে দিয়েছেন। তার মধ্যে বিহারের মাফিয়া ডন সৈয়দ শাহাবুদ্দিনের ছেলে ওসামা সাহাবও রয়েছেন। বিজেপি একে কংগ্রেস-আরজেডির সঙ্গে মাফিয়াদের জোট বলে নিশানা করেছে। সিপিআই এমএল লিবারেশনের বিধায়ক ও দারাউলির প্রার্থী সত্যদেও রাম এবং আর এক প্রার্থী জিতেন্দ্র পাসোয়ানকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরেই কুড়ি বছরের পুরনো একটি ‘রেল রোকো’ মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। কংগ্রেসও তাদের কয়েক জন প্রার্থীকে মনোনয়ন সংক্রান্ত শংসাপত্র দিয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bihar JDU Congress

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy