সাইবার প্রতারণা মামলায় দোষীদের ধরতে এবং তাঁদের শাস্তি দিতে সিবিআই ব্যর্থ হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উপস্থিত বিরোধী সাংসদেরা। সিবিআইয়ের পাল্টা যুক্তি, কর্মীর অভাব এবং একাধিক রাজ্য সিবিআইকে তদন্ত করার অনুমতি না দেওয়ায় মামলার গতি শ্লথ হয়ে পড়ছে বা দিশা হারাচ্ছে।
দেশে বাড়ছে সাইবার প্রতারণার ঘটনা। ডিজিটাল গ্রেফতারির ফাঁদে পা দিয়ে বিপুল অর্থ খোয়াতে হচ্ছে। এ ধরনের আর্থিক সাইবার প্রতারণা রোখার প্রশ্নে কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তা জানতে সিবিআইয়ের ডিরেক্টর প্রবীণ সুদ, জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রধান সদানন্দ দাতেকে আজ বৈঠকে ডেকেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। বৈঠকে তৃণমূল সাংসদ মালা রায় সিবিআইয়ের কাছে জানতে চান, ওই তদন্তকারী সংস্থার দোষী সাব্যস্ত করার হার এত কম কেন? তথ্যের অধিকার আইনে পাওয়া পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে আর এক সাংসদ বলেন, মহারাষ্ট্রে গত চার বছরে প্রায় দু’হাজার সাইবার প্রতারণার অভিযোগ জমা পড়েছে। সেখানে মাত্র দু’টি ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করতে পেরেছে সিবিআই।
সিবিআই জানিয়েছে, লোকবলের অভাব এর অন্যতম কারণ। এ ছাড়া এ ধরনের সাইবার প্রতারণার ক্ষেত্রে কোনও সীমানা থাকে না। প্রতারকেরা এক রাজ্যে বসে অন্য রাজ্যে প্রতারণা করে। তাই সাইবার প্রতারণার মামলাগুলিতে সব রাজ্যে কাজ করার অধিকার চেয়ে রাজ্যগুলিকে চিঠি দিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু মাত্র আটটি রাজ্য এ ক্ষেত্রে সিবিআইকে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মতো অধিকাংশ বিরোধী রাজ্য ওই অনুমতি দেয়নি বলে জানায় সিবিআই। সূত্রের মতে, সিবিআই যাতে অনুমতি পায় তার জন্য কমিটির তরফে অনিচ্ছুক রাজ্যগুলিকে চিঠি লেখা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এ দিন বৈঠকে মালার দাবি, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে দেশে জিটাল গ্রেফতারির ঘটনা বেড়েছে প্রায় ২১ গুণ। টাকার অঙ্কে ওই প্রতারণা দু’হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে। চলতি বছরের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারিতে ১৭,৭১৮টি ডিজিটাল গ্রেফতারির ঘটনা ঘটেছে। মালার প্রশ্ন, যেখানে প্রধানমন্ত্রী নিজে ডিজিটাল প্রতারণা থেকে সাবধান থাকার কথা বলেছেন, সেখানে বিষয়টি নিয়ে এত কম প্রচার কেন?
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)