রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নকে ঘিরে বিভিন্ন বিরোধী দলকে এক মঞ্চে দেখা গিয়েছিল। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে তাকে ঐক্যবদ্ধ জোটের প্রথম প্রয়াস হিসাবে দেখানোর চেষ্টাও হয়েছিল। কিন্তু বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিন্হা রাজ্যে রাজ্যে ভোট চেয়ে ঘুরে বেড়ালেও, বিরোধীরাই বলছেন, জয়ের সামান্য সম্ভাবনাও তাঁর নেই।
রাজনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, এর পর উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীরা প্রার্থী দেবে ঠিকই, কিন্তু এ ক্ষেত্রে তোড়জোড় এবং উৎসাহ আরও কম দেখা যাচ্ছে নয়াদিল্লিতে। প্রথমত, এখনও পর্যন্ত কোনও নাম নিয়ে ভাবনাই শুরু হয়নি। কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, পরাজয় অনিবার্য জেনে এই নিয়ে বেশি লম্ফঝম্প করতে চাইছে না সনিয়া গান্ধীর দল। তাদের এখনও পর্যন্ত কোনও পছন্দের প্রার্থীও নেই। তারা নাম কে ওয়াস্তে এই নিয়ে বৈঠকে যোগ দেবে মাত্র।
রাজনৈতিক সূত্রের খবর, উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী নিয়ে বৈঠকে বিরোধীদের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা থাকছেন না। সংসদীয় নেতারাই অ্যানেক্সি ভবনে বৈঠক সারবেন ৬ জুলাইয়ের পরে। স্থির হয়েছে, আগে বিরোধীরা বসে নিজেদের মধ্যে মতৈক্য তৈরি করবেন, তার পর একটি নাম স্থির করবেন। শীঘ্রই পওয়ার দিল্লি আসতে পারেন। সে সময়ে কয়েক জন বিরোধী নেতার সঙ্গে তাঁর এ বিষয়ে কথা হতে পারে। তবে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী বাছাই করা নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা ভাল নয়। শরদ পওয়ারের নাম ঠিকই করে ফেলেছিল দল, পওয়ারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কথা দিয়েছিলেন। তার ভিত্তিতেই মমতা দিল্লি আসেন, সমস্ত বিরোধী দলকে বৈঠকের আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পওয়ার পিছিয়ে যান, তৃণমূলের প্রস্তাবিত আরও দু’জন ফারুক আবদুল্লা এবং গোপাল গান্ধী নিজেরাই পিছিয়ে যান। আগে থেকে নাম বাছাইয়ের দায় আর ঘাড়ে নিতে চাইছে না তৃণমূল বা অন্য কোনও দল। আর উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটার শুধুমাত্র লোকসভা এবং রাজ্যসভার সদস্যরা। এ ক্ষেত্রে এনডিএ-র সংখ্যার ধারে কাছেও নেই বিরোধীরা। সুতরাং পরাজয় অবশ্যম্ভাবী।