রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসেবে জগদীপ ধনখড়ের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের জন্য বিরোধী শিবির তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল। ধনখড়ের উত্তরসূরি সি পি রাধাকৃষ্ণন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পরে আজ বিরোধী শিবির তাঁকে মনে করিয়ে দিল, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি যেন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেন।
আগামী পরশু রাধাকৃষ্ণনের শপথ। তার আগে, আজ কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র তথা রাজ্যসভায় দলের মুখ্য সচেতক জয়রাম রমেশ নতুন উপরাষ্ট্রপতিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আর এক রাধাকৃষ্ণনেরকথা স্মরণ করিয়েছেন। দেশেরপ্রথম উপরাষ্ট্রপতি তথা প্রথম রাজ্যসভার চেয়ারম্যান সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের কথা উল্লেখ করে জয়রামের বক্তব্য, রাধাকৃষ্ণন রাজ্যসভার প্রথম দিনে বলেছিলেন, তিনি কোনও দলের নন। যদি বিরোধীদের সরকারের সমালোচনার সুযোগ না দেওয়া হয়, তা হলে গণতন্ত্র স্বৈরাচারে পরিণত হতে পারে বলেও মন্তব্য করেছিলেন। এবং সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন নিজের কথা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেছিলেন।
আজ তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনও নতুন উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের জন্য আটটি ‘পরামর্শ’ পেশ করেছেন। সেগুলি হল, নতুন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বিরোধীদের কোনও বিষয়ে আলোচনা চেয়ে নোটিস গ্রহণ করুন। গত আট বছরে বেঙ্কাইয়া নায়ডু ও জগদীপ ধনখড়ের জমানায় বিরোধীদের একটি মুলতুবি প্রস্তাবও গৃহীত হয়নি। বিরোধীদের দলে দলে সাসপেন্ড করার প্রথা বন্ধ হোক। বিরোধীদের প্রতিবাদ সংসদ টিভি-তে দেখানো হোক। আরও বেশি করে বিল সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হোক। বিরোধী সাংসদদের বিলে সংশোধন চেয়ে ভোটাভুটি করানোর অধিকার সুরক্ষিত থাক। আর জগদীপ ধনখড়ের জমানায় চেয়ারম্যানের তরফ থেকে সাংসদদের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানানোর প্রথা চালু হয়েছিল। এ ভাবে সময় নষ্ট করা বন্ধ হোক।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)