—ছবি পিটিআই।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছেন, ধর্ষণে দোষী সাব্যস্তদের তিন দিন, সাত দিন, এগারো দিন এবং এক মাসের মধ্যে ফাঁসি হচ্ছে। কিন্তু সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৫ সালে ইয়াকুব মেননের পরে দেশে আর কারও ফাঁসি হয়নি। এই সুযোগে মোদীকে নিশানা করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা।
সুরাতে গত কাল প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, আগে দেশে ধর্ষণের কথা শোনা যেত। এটা খুব লজ্জার যে ওই ঘটনা এখনও শোনা যায়। কিন্তু এখন দোষীদের তিন দিন, সাত দিন, এগারো দিন এবং এক মাসের মধ্যে ফাঁসি হচ্ছে। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, গত ১৫ বছরে দেশে চারটি ফাঁসি হয়েছে। এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের অপরাধে ২০০৪ সালে একজনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তী সময় ফাঁসি হয় ইয়াকুব মেনন, আজমল কসাব এবং আফজল গুরুর। তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল। এমনকি, ২০১২ সালের নির্ভয়া-কাণ্ডের দোষীদের ফাঁসির সাজা এখনও কার্যকর হয়নি।
আইন বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, বাস্তবে একটি ফাঁসির সাজা কার্যকর করতে গড়ে এক-দেড় দশক লাগে। প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে কংগ্রেসের মুখপাত্র সামা মোহামেদ বলেন, ‘‘উন্নাওয়ের নির্যাতিতা বিচার না পেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আর প্রধানমন্ত্রী মিথ্যাভাষণ দিচ্ছেন।’’ জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার কটাক্ষ, ‘‘৩/৭/১১ ও এক মাসে কাদের ফাঁসি হয়েছে, সেই তথ্য দয়া করে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের কেউ দেশবাসীর সামনে তুলে ধরুন।’’ সঙ্গীতকার বিশাল দাদলানির টুইট, ‘‘প্রধানমন্ত্রী আপনার সময়ে ফাঁসি হওয়া একজন ধর্ষকের নাম বলুন। নির্ভয়া থেকে আসিফার ধর্ষক, উন্নাওয়ের শিশু ধর্ষণকারী কুলদীপ সেঙ্গার এখন বহাল তবিয়তে রয়েছে। ভারতীয় নারীর যন্ত্রণাকে প্রচারের হাতিয়ার করবেন না।’’
আক্রমণের মুখে বিজেপির যুক্তি, আদালত ধর্ষণ মামলায় দ্রুত ফাঁসির সাজা শোনাচ্ছে, এমনটাই সম্ভবত বোঝাতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তাঁর কথার অপব্যাখ্যা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy