—ফাইল চিত্র।
ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ও ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম— দেশের আইনশৃঙ্খলার সঙ্গে জড়িত এই তিনটি বিলকে ফের সংসদের যৌথ সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবি তুলবে বিরোধীরা। কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গের বাড়িতে আজ বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’-র দলগুলির সংসদীয় দলনেতাদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ওই তিনটি বিল আগেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, তাঁদের সম্মিলিত আপত্তি সত্ত্বেও তাড়াহুড়ো করে স্থায়ী কমিটি এই তিনটি বিল নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করে ফেলেছে। বিরোধীদের দাবি মতো আইনি বিশেষজ্ঞদের মতামত না নিয়েই রিপোর্ট চূড়ান্ত করে ফেলা হয়েছে। বিলে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বিরোধী আইন বা ইউএপিএ, জাতীয় সুরক্ষা আইনের মতো কঠোর আইনের ধারাও ঢোকানো হয়েছে। সংসদের চলতি শীতকালীন অধিবেশনেই এই তিনটি বিল পাশ করাতে চাইছে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তার জন্য লোকসভা ও রাজ্যসভায় ১৫ ঘণ্টা করে সময়ও নির্ধারিত হয়েছে। সে সময়ই বিরোধীরা এই বিলগুলিকে ফের লোকসভা ও রাজ্যসভার সদস্যদের নিয়ে গঠিত সিলেক্ট কমিটির কাছে পাঠানোর দাবি তুলবেন। বৈঠকে বিরোধী দলের নেতারা বলেছেন, আগেও একবার সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে কোনও বিল আলোচনার পরে, তা আবার সিলেক্ট কমিটিতে আলোচনা হয়েছে। বিরোধীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদী সরকার নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষমতা পুরোপুরি নিজের হাতে নিতে যে বিল আনছে, তারও বিরোধিতা হবে।
কংগ্রেস আজ প্রথমে ‘ইন্ডিয়া’-র বৈঠকই ডেকেছিল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অধিকাংশ বিরোধী দলের নেতানেত্রী বৈঠকে থাকতে পারবেন না জেনে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। তার বদলে আজ সংসদীয় দলনেতাদের বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বৈঠকে খড়্গের পাশাপাশি, রাহুল গান্ধীও হাজির ছিলেন। ১৭টি বিরোধী দলের মোট ১৯জন নেতানেত্রী উপস্থিত ছিলেন। তৃণমূল ও উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনার কোনও প্রতিনিধি হাজির ছিলেন না। বৈঠকে সকলেই দাবি তোলেন, দ্রুত ‘ইন্ডিয়া’-র বৈঠক ডাকা হোক। কারণ, ‘ইন্ডিয়া’-র শেষ বৈঠক হয়েছিল গত অগস্টে মুম্বইয়ে। কংগ্রেস কার্যকরী কমিটির সদস্য সৈয়দ নাসির হুসেন বলেন, ‘‘সকলের সঙ্গে কথা বলে ইন্ডিয়া-র পরবর্তী বৈঠকের দিনক্ষণ স্থির করা হবে। ১৭ বা ১৮ ডিসেম্বর নাগাদ বৈঠক হতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy