শনিবার এমসে হরিয়ানার বাসিন্দা ছোট্ট মাহিরার অঙ্গদান করা হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স (এমস)-এ অঙ্গদানে ফের নজির। ১৮ মাসের শিশুর অঙ্গে প্রাণ বাঁচল দুই রোগীর। এই নিয়ে গত ৬ মাসে ৩ জন শিশুর অঙ্গদান করা হল এমসের ট্রমা সেন্টারে।
শনিবার এমসে হরিয়ানার বাসিন্দা ছোট্ট মাহিরার অঙ্গদান করা হয়েছে। গত ৬ নভেম্বর বাড়ির বারান্দা থেকে পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পেয়েছিল একরত্তি শিশু। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাঁকে এমসে নিয়ে যাওয়া হয়। মাহিরার মস্তিষ্কে আঘাত ছিল গুরুতর। ১১ নভেম্বর সকালে চিকিৎসকরা তাকে ‘ব্রেন ডেথ’ ঘোষণা করে দেন।
এর পরেই শিশুটির অঙ্গদান করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন পরিবারের সদস্যরা। এমসের নিউরোসার্জারি বিভাগের অধ্যাপক চিকিৎসক দীপক গুপ্তা জানিয়েছেন, ইনস্টিটিউট অফ লিভার অ্যান্ড বিলিয়ারি সায়েন্সে ৬ মাসের এক শিশুর দেহে মাহিরার যকৃৎ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
এ ছাড়া, ছোট্ট মাহিরার দু’টি কিডনিই সফল ভাবে প্রতিস্থাপিত হয়েছে ১৭ বছর বয়সি এক কিশোরের দেহে।
মাহিরার চোখ (কর্নিয়া) এবং হৃদ্যন্ত্র সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। ডঃ গুপ্তা জানিয়েছেন, এমসে অঙ্গদানের ক্ষেত্রে মাহিরা দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম। এর আগে গত অগস্টে ১৬ মাস বয়সি এক শিশুর অঙ্গদান করা হয়েছিল এই প্রতিষ্ঠানে। এমসে অঙ্গদানের নিরিখে সেই সর্বকনিষ্ঠ। তারও আগে গত এপ্রিলে ৬ বছর বয়সি এক শিশুর অঙ্গদান করা হয়।
একই সঙ্গে যে ভাবে মাহিরার মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসক গুপ্তা। তিনি জানিয়েছে, বাড়ির বারান্দা থেকে পড়ে গিয়ে শিশুমৃত্যুর ঘটনা সম্প্রতি বেড়ে গিয়েছে। বারান্দার রেলিং সবসময় শিশুদের নাগালের বাইরে রাখা উচিত। একটু সাবধানতা অবলম্বন করলেই এই ধরনের মৃত্যু আটকানো সম্ভব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy