সিন্ডিকেট ও বন দফতরে অবৈধ কাজ বন্ধ করার ডাক দেওয়া বনমন্ত্রীই বিভাগীয় কাজে বহিরাগতদের হস্তক্ষেপকে উৎসাহিত করছেন— এমনই অভিযোগ অসমে। সম্প্রতি বন দফতরের এলাকায় ট্রাক থেকে তোলা আদায়ের দায়ে বনমন্ত্রী প্রমীলারানি ব্রহ্মর ছেলের ঘনিষ্ঠ দু’জন গ্রেফতার হয়েছিল। তাঁদের ছাড়াতে মন্ত্রী হস্তক্ষেপ করেন বলে অভিযোগ। ওই দুই যুবকের কাছে পাওয়া যায় মন্ত্রীরই দেওয়া অনুমতিপত্র। সে সবের জেরে সমালোচনার মুখে পড়েছেন প্রমীলারানি।
পুলিশ ও প্রশাসনিক সূত্রে খবর, দিনদুয়েক আগে জোড়াবাটে ট্রাক থামিয়ে টাকা আদায়ের সময় আবদুল হাইনাগরি ও রাজু বর্মন নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু জানা যায়, তারা মন্ত্রিপুত্রের সঙ্গে কাজ করে। ধৃতদের ছাড়াতে থানায় হাজির হন বিট অফিসার, ডিএফও। আবদুল সঙ্গে থাকা মন্ত্রীর অনুমতিপত্র দেখায়। প্রমীলারানির সরকারি লেটারহেডে, মন্ত্রীর স্বাক্ষর-সহ তাতে লেখা ছিল— সরকারি ভাবেই ওই যুবকরা অসমে কাজ করতে পারে।
ঘটনার জেরে বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া ছড়ায়। তার মধ্যেই নামনি অসমে কাঠ কারবারিদের সঙ্গে প্রমীলারানির নাম নিয়ে আবদুলের কথাবার্তার ‘অডিও’ প্রকাশ্যে আসে। বন দফতরে এত কর্মী থাকার পরও মন্ত্রী বহিরাগতদের কাজে লাগানোয় প্রতিবাদ হয়। তিনসুকিয়া, গোয়ালপাড়ায় প্রমীলারানির কুশপুতুল পোড়ে।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ বলেন, ‘‘শাসক দল আগে কথায় কথায় আমাদের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি করত। এখন তা হলে বনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অবিলম্বে তদন্ত করা হোক।’’
গোয়ালপাড়ায় প্রমীলারানির বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সামনে পড়ে প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রঞ্জিৎ দাস বলেন, ‘‘বন দফতরে এত কর্মী থাকতেও পরিচিতদের দিয়ে বন বিভাগের কাজ করানো অনৈতিক।’’ অগপ নেতা প্রফুল্ল মহন্তও স্বজনপোষণের সমালোচনা করেন।
কিন্তু প্রমীলারানি অনড়। তিনি বিধানসভায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ধৃতরা কোনও দোষ করেনি। পুলিশ বিনা কারণেই তাদের ধরেছিল। তারা বন দফতরের কাজে সাহায্য করছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy