পুলিশ হেফাজতের সময়সীমা আরও চার দিন বাড়ল ‘পাক গুপ্তচর’ জ্যোতি মলহোত্রার। আপাতত আগামী ২৫ তারিখ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতেই কাটাতে হবে হরিয়ানার ইউটিউবারকে। পাশাপাশি, পুলিশ জানিয়েছে, পাক আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকলেও সরাসরি জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না জ্যোতির। তদন্তে এখনও পর্যন্ত সে রকম কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
বুধবার হিসার পুলিশ জানিয়েছে, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার (পিআইও) গোয়েন্দাদের সঙ্গে জ্যোতির যোগাযোগ ছিল, তবে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে কিংবা কোনও জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁর যোগসূত্রের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। হিসারের পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘কয়েক জন পাক এজেন্টের সঙ্গে জেনেশুনেই যোগাযোগ রেখেছিলেন জ্যোতি। তবে জ্যোতির সশস্ত্র বাহিনী বা তাদের পরিকল্পনা সম্পর্কে কোনও জ্ঞান ছিল বলে মনে হয় না। এখনও পর্যন্ত কোনও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে তাঁর জড়িত থাকার প্রমাণও পাওয়া যায়নি। এমন কোনও নথিও আমরা পাইনি, যার থেকে প্রমাণিত হয় যে উনি কোনও পাক এজেন্টকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন বা ধর্মান্তরিত হতে চেয়েছিলেন।’’ সমাজমাধ্যমে ইতিমধ্যেই বহুল প্রচারিত জ্যোতির ডায়েরিটিও পুলিশ উদ্ধার করেনি বলেই জানা গিয়েছে। পুলিশ সুপারের কথায়, জ্যোতির তিনটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে পুলিশের কাছে আদৌ কোনও ডায়েরি নেই।
আরও পড়ুন:
বুধবারই জানা গিয়েছিল, জ্যোতি যে ‘চরবৃত্তি’ করতেন, তার বেশ কয়েকটি নতুন ‘ডিজিটাল’ প্রমাণ হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। তাঁদের মতে, জ্যোতির সমাজমাধ্যমের ভিডিয়োগুলি প্রকৃত সত্যকে আড়াল করার জন্য বানানো হত। আদতে পাকিস্তানি এজেন্টদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন তিনি। সেই বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে গোয়েন্দাদের কাছে। তদন্তে এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, ২০২৩ সাল থেকে জ্যোতি বিভিন্ন পাকিস্তানি নাগরিকের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। সেই সময়েই তিনি পাকিস্তান সফরে যান। ভারতে ফিরে এলেও পাকিস্তানি নাগরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় ছিল জ্যোতির। জ্যোতির সঙ্গে পাকিস্তান দূতাবাসের আধিকারিক এহসান ওরফে দানিশের আলাপ ছিল। তদন্তে ‘জাট রনধাওয়া’ নামে এক ব্যক্তির কথাও উঠে এসেছে। যদিও সেই নামে কোনও ব্যক্তির অস্তিত্ব খুঁজে পাননি তদন্তকারীরা। পাকিস্তানের কয়েক জন গোয়েন্দাকর্তার সঙ্গেও জ্যোতির পরিচয় হয়। তবে তিনি কার কার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন নিয়মিত, তা এখনও স্পষ্ট নয়।