পাকিস্তানের ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটি (এনসিএ)-র কোনও বৈঠক হচ্ছে না শনিবার! সংবাদ সংস্থা রয়টার্স অনুসারে, এক পাক সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন পাকিস্তানি প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ। রয়টার্সের ওই প্রতিবেদন অনুসারে, পাক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির কোনও বৈঠক হয়নি। এমন কোনও বৈঠক হওয়ার কথাও নেই।” বস্তুত, পাকিস্তানের সামরিক এবং অসামরিক শীর্ষকর্তাদের নিয়ে গঠিত এই কমিটির হাতেই রয়েছে সে দেশের পরমাণু অস্ত্র এবং দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার।
শনিবার সকালে রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম আল জাজ়িরা পাক সেনা সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছিল, সে দেশের ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটি-র বৈঠক হতে চলেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনার জন্যই ওই বৈঠক বলে দাবি সেনা সূত্রে দাবি করা হয়েছিল। যদিও পরে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দাবি, এমন কোনও বৈঠক হয়নি এবং হওয়ার কথাও নেই। পাকিস্তানের এনসিএ-র নেতৃত্বে রয়েছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ। তিনিই এই বৈঠক ডেকেছেন বলে প্রাথমিক ভাবে পাক সেনা সূত্রে জানা গিয়েছিল। এ বিষয়ে রয়টার্স পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে কোনও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পায়নি।
আরও পড়ুন:
পাকিস্তানের এনসিএ-তে শাহবাজ় ছাড়া রয়েছেন তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টা, মন্ত্রিসভার পাঁচ গুরুত্বপূর্ণ সদস্য (অর্থ, বিদেশ, প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র এবং শিল্প ও প্রতিরক্ষা উৎপাদন), সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার (স্থল, নৌ ও বায়ুসেনা) প্রধান। এ ছাড়া রয়েছেন, পাক সশস্ত্র বাহিনীর ‘জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফস কমিটি’র চেয়ারম্যান, ‘স্ট্র্যাটেজ়িক প্ল্যানস ডিভিশন’ (কৌশলগত পরমাণু সংক্রান্ত গবেষণা এবং পরমাণু অস্ত্র রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত)-এর প্রধান এবং পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর ডিরেক্টর।
বস্তুত, শনিবার বেলা ১০টা ৫০ মিনিট নাগাদ ভারতীয় সেনা এবং সরকারের যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয়েছে, নিয়ন্ত্রণরেখা এবং ভারতের পশ্চিম দিকের আন্তর্জাতিক সীমান্তে আরও সেনা মোতায়েন করছে পাকিস্তান। ভারতীয় বাহিনীও প্রস্তুত রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, শনিবার ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল অনিল চৌহান।