পড়শির দিকে ফের অভিযোগের আঙুল তুলল ভারত। আজ লোকসভায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলি অভিযোগ করেছেন, জম্মু-কাশ্মীর সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি ঢোকানোর চেষ্টা বাড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। আর জঙ্গি অনুপ্রবেশে মদত দেওয়ার জন্যই বারবার সীমান্তে গুলি চালিয়ে সংঘর্ষ-বিরতি লঙ্ঘন করছে পাক সেনা।
গোয়েন্দারা মনে করছেন, নওয়াজ শরিফ গদিচ্যুত হওয়ার পরে পাকিস্তানে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, তাতে সে দেশের সেনা সামনে না এলেও পিছন থেকে তাদের সক্রিয়তা বাড়াবে। আর তার ফলে সীমান্তেও তাদের তৎপরতা বাড়বে। সেটা আঁচ করেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে, যে করেই হোক জঙ্গি অনুপ্রবেশে পাক সেনার মদত দেওয়ার চেষ্টা রুখতে হবে। আর তা কোনও প্ররোচনায় পা না দিয়েই। এমনিতেই মাস খানেক ধরে পূর্ব সীমান্তে চিনের সঙ্গে টানাপড়েন চলছে। তাই পূর্ব ও পশ্চিম সীমান্তে একসঙ্গে উত্তাপ বাড়ানোর ঝুঁকি নিতে চায় না নরেন্দ্র মোদী সরকার।
আরও পড়ুন: এফবিআই জালে ওয়ানাক্রাই-হিরো
জেটলি আজ লোকসভায় জানিয়েছেন, গত বছর মোট ২২৮ বার সংঘর্ষ-বিরতি লঙ্ঘন করেছিল পাকিস্তান। সেখানে চলতি বছরে সাত-আট মাসেই পাকিস্তানের তরফ থেকে ২৮৫ বার গোলাগুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। জেটলি বলেছেন, ‘‘সেনা ও বিএসএফ সতর্ক থাকায় অধিকাংশ অনুপ্রবেশের চেষ্টাই রুখে দেওয়া গিয়েছে। পাকিস্তানের দিকেও রেকর্ড পরিমাণ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।’’ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরে সীমান্ত ও নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অনুপ্রবেশ রুখতে একটি সার্বিক নজরদারি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। বৈদ্যুতিক কাঁটাতারের বেড়া, রেডার, সেন্সর, থার্মাল ইমেজার, ফ্লাডলাইটের সঙ্গে রয়েছে পায়ে হেঁটে নজরদারির ব্যবস্থাও। যেখানে নদী খাত রয়েছে, সেখানে লেজারের মাধ্যমে অদৃশ্য প্রাচীর গড়ে তোলা হয়েছে। সীমান্তের ও-পার থেকে হামলা বা অনুপ্রবেশে মদত ঠেকানোর পাল্টা রণকৌশল তৈরি রয়েছে। পাক সেনার গুলিতে যাতে এ দেশের জওয়ান বা সাধারণ মানুষের মৃত্যু বেশি না হয়, তার জন্যও ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর’ মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy