প্রতীকী ছবি।
প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে জম্মু-কাশ্মীরে হামলার ছক কষছে পাক জঙ্গিরা— এমন সতর্কবার্তা ছিলই। নিয়ন্ত্রণরেখা লাগোয়া গ্রামগুলিতে হামলা আইইডি বিস্ফোরণ হতে পারে একাধিক সূত্রে খবর এসেছিল ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে। সেই বার্তার পক্ষে আরও বড়সড় তথ্য পেলেন গোয়েন্দারা। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর প্রচুর উন্নত প্রযুক্তির ক্যামেরা এবং সিগন্যাল টাওয়ার বসাচ্ছে পাকিস্তান। আইএসআই এবং পাক সেনা যৌথ ভাবে ইতিমধ্যেই ১৮টি টাওয়ার বসিয়ে ফেলেছে বলে খবর পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
কিন্তু টাওয়ার বসানোর সঙ্গে জঙ্গি হানার যোগসূত্র কোথায়? সীমান্তের ও পারে নিয়ন্ত্রণরেখা বরবার রয়েছে জঙ্গিদের প্রচুর লঞ্চ প্যাড। সেই সব লঞ্চ প্যাড থেকে ভারতে জঙ্গি ঢোকানোর নিরন্তর প্রয়াস চলে। ২০১৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এই রকমই লঞ্চ প্যাডে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছিল ভারতীয় সেনা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের সূত্রে খবর, এক কথায় এই লঞ্চ প্যাডগুলিকে সুরক্ষা দিতেই এই ক্যামেরা এবং সিগন্যাল টাওয়ার বসানো হয়েছে। পাক সেনার স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ (এসএসজি)-এর ১০ জন কমান্ডোকে এই হামলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও খবর।
পাক সেনা এবং গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর মদতেই যে এই লঞ্চ প্যাডগুলি চলে, তাও আন্তর্জাতিক মহলে সুবিদিত। যদিও পাকিস্তান সে কথা মানতে চায় না। ভারতীয় গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, গত ৮ জানুয়ারি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ব্রিগেডিয়ার আসিম খানের সঙ্গে সেনার পদস্থ কর্তাদের একটি বৈঠক হয়েছিল। কোটলিতে হওয়া ওই বৈঠকেই ভারতে হামলা চালানোর বিষয়ে আলোচনা এবং টাওয়ার ও ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত হয়। তার পর থেকে তার কাজও শুরু হয়েছে।
আরও পডু়ন: তসলিমাকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে! ভুল তথ্য দিলেন সীতারামন
আরও পড়ুন: ‘প্রয়োজন ছিল না’, সিএএ নিয়ে ক্ষোভ গোপন রাখলেন না শেখ হাসিনা
গোয়েন্দাদের একাধিক সূত্রে দাবি, উন্নত প্রযুক্তির এই ক্যামেরা এবং সিগন্যাল টাওয়ারগুলির সাহায্যে ভারতের দিকে নজরদারি চালানো আরও সুবিধাজনক হবে পাক সেনার। ফলে ভারতের দিক থেকে লঞ্চ প্যাডগুলিতে জঙ্গি দমনে কোনও অভিযান হলে, আগেভাগে তা আঁচ করতে পারবে এবং সেই মতো জঙ্গিদের প্রয়োজনে সরিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy