Advertisement
E-Paper

পাক নিশানায় কাশ্মীরি স্কুল, উদ্ধার আটকে থাকা শিক্ষক-পড়ুয়া

বাহওয়ানির একটি সরকারি স্কুল থেকে ১৫০ জন পড়ুয়াকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাহওয়ানিতে প্রবল গোলাগুলির মুখে উদ্ধারের কাজে অনেক দেরি হয় বলে জানিয়েছেন সেনার এক আধিকারিক। গোলাবর্ষণ একটু কমলে পড়ুয়াদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়। অন্য দিকে, কালাদির একটি স্কুল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১২ জন পড়ুয়াকে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৭ ১৬:৪৮
পড়ুয়াদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নিরাপদ স্থানে। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।

পড়ুয়াদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নিরাপদ স্থানে। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।

ফের নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করল পাকিস্তান। সীমান্তে লাগাতার গুলি বর্ষণের মধ্যেই আটকে পড়ে রাজৌরির তিনটি সরকারি স্কুলের শিক্ষক-পড়ুয়ারা। দীর্ঘ ছ’ঘণ্টা আটকে থাকার পর অন্তত ২১৭ জন পড়ুয়া এবং ১৫ জন শিক্ষককে উদ্ধার করেছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। সেনা সূত্রে খবর, বুলেট প্রুফ গাড়িতে তাদের পৌঁছে দেওয়া হয়েছে নিরাপদ স্থানে।

আরও পড়ুন: সংযত না হলে সর্বাত্মক সংঘাত, এ বার সরাসরি যুদ্ধের হুমকি চিনের

ভারতীয় সেনা জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল থেকেই নিয়ন্ত্রণ রেখার ও পার থেকে পুঞ্চ ও রাজৌরি জেলায় হামলা শুরু করে পাক সেনা। নিয়ন্ত্রণরেখা লাগোয়া কালসিয়ান, সেইর, বাহওয়ানি, নাম্ব এবং ঝাঙ্গার-সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম লক্ষ্য করে গুলি ও মর্টার শেল ছোঁড়া শুরু হয়। জবাব দেয় ভারতীয় সেনাও। দুপুর অবধি চলে গোলাগুলি। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানি হামলায় পুঞ্চের বালাকোট সেক্টরে বেহরোতি এলাকায় প্রাণ গিয়েছে বছর পাঁচেকের এক শিশুর। প্রাণ গিয়েছে এক সেনা জওয়ানেরও। এক সেনা আধিকারিকের কথায়, ‘‘কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়েই নৌশেরা ও মঞ্জকোট সেক্টরের স্কুলগুলিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ছ’ঘণ্টার বেশি সময় স্কুলের ভিতর আটকে ছিলেন শিক্ষক ও পড়ুয়ারা।’’

বাহওয়ানির একটি সরকারি স্কুল থেকে ১৫০ জন পড়ুয়াকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাহওয়ানিতে প্রবল গোলাগুলির মুখে উদ্ধারের কাজে অনেক দেরি হয় বলে জানিয়েছেন সেনার এক আধিকারিক। গোলাবর্ষণ একটু কমলে পড়ুয়াদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়। অন্য দিকে, কালাদির একটি স্কুল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১২ জন পড়ুয়াকে। পাক হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সেইরের একটি সরকারি স্কুল। স্কুল লক্ষ্য করে সরাসরি গুলি ও মর্টার শেল ছোঁড়ে পাক সেনা। তাতে স্কুলবাড়ির একটি বিরাট অংশ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। গোলাগুলি চলাকালীনই ৫৫ জন পড়ুয়া ও শিক্ষককে উদ্ধার করে অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। রাজৌরির ডেপুটি কমিশনার শাহিদ ইকবাল চৌধুরী জানিয়েছেন, ১৫০ জন পড়ুয়াকে সেনা ছাউনিতে নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। বাকিদের অভিভাবকের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

Ceasefire Violation Jammu and Kashmir LOC Pakistani Army Firing Nowshera Rescue রাজৌরি
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy