এটা কি অনেকটা এমন নয় যে, ‘সব ব্যাটাকে ছেড়ে দিয়ে ওই ব্যাটাকে ধর’?
পানামা পেপার্সের ফাঁস করা কেলেঙ্কারিতে তো কম লোকজনের নাম জড়িয়ে নেই। আর তাঁরা সকলেই রাঘববোয়াল। কেউ কোনও রাষ্ট্রপ্রধান তো কেউ কোনও দুনিয়া কাঁপানো ফুটবলার। ভারতেরই তো অন্তত ৫০০ শিল্পপতি আর বিশিষ্ট লোকজনের নাম জড়িয়ে রয়েছে ওই কেলেঙ্কারিতে।
তা হলে শুধু অমিতাভ বচ্চনকেই কেন টার্গেট করল মহারাষ্ট্র কংগ্রেস? এত লোক থাকতে কেন অমিতাভের ওপরেই খড়্গহস্ত হল কংগ্রেস? কেন মেগাস্টারকে রাজ্যের ‘বাঘ বাঁচাও’ প্রকল্পের ‘অ্যাম্বাসাডর’ পদ থেকে অবিলম্বে সরিয়ে দেওয়ার দাবি তোলা হল প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে?
শুধু তাই নয়, মহারাষ্ট্র বিধানসভায় কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা বচ্চনকে ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্স অ্যান্ড সার্ভিসেস সেন্টারে’র গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। কেন?
আরও পড়ুন- অনিশ্চিত এনআইএ-র সফর, পাক দূতের গোলায় বেকায়দায় দিল্লি
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বচ্চনের ওপর এখনও রাগ যায়নি কংগ্রেসের। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর এক সময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু অমিতাভের সঙ্গে ইন্দিরা তনয়ের সম্পর্কে তাঁর মৃত্যুর বেশ কয়েক বছর আগেই চিড় ধরে। পরে কংগ্রেস ছেড়ে সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিয়ে কংগ্রেসের আরও বিরাগভাজন হয়ে পড়েন অমিতাভ। কারণ, মুলায়ম সিংহ যাদবের দল সমাজবাদী পার্টির ‘শক্ত ঘাঁটি’ উত্তরপ্রদেশে গোড়া থেকেই টক্কর ছিল দু’টি দলের মধ্যে।
অমিতাভকে নাগালে পাওয়ার জন্য সব সময়েই কংগ্রেস চেষ্টা করে এসেছে। কিন্তু ততটা সুবিধা করে উঠতে পারেনি।
এ বার পানামা পেপারের ফাঁস করা আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অমিতাভের নাম যে ভাবে জড়িয়ে পড়েছে, তাতে কংগ্রেস ওই বড় সুযোগটা আর হাতছাড়া করতে চাইছে না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
পরে বচ্চন অবশ্য এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘আমাকে অযথা এ সবে জড়ানো হচ্ছে। যে সব সংস্থার কথা বলা হয়েছে, আমি তার কোনওটিরই ডিরেক্টর নই।’’