গুমড়া থেকে জেএমবি-র অসম মডিউলের প্রধান জবিরুল ইসলামকে ধরে কলকাতায় তুলে নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই দুর্গোৎসব নিয়ে আশঙ্কা শুরু হয়। পরে একই অভিযোগে তার আশ্রয়দাতা আজিজুর রহমানকে গ্রেফতারের পর জল্পনা আরও বেড়ে গিয়েছে। গুজব ছড়িয়ে পড়েছে, দুর্গোৎসবের সময় এখানে হামলার ছক কষছে সন্ত্রাসবাদীরা। আজ কাছাড়ের পুলিশ সুপার রাজবীর সিংহ সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘‘এতটা ভয়ের কিছু নয়। পুলিশ সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।’’
তাঁর আশা, দুর্গোৎসব অন্য বছরের মতোই শান্তিতে কাটবে। তিনি পুজো কমিটিগুলিকে শুধু নিয়মনীতি মেনে চলতে পরামর্শ দিয়েছেন। পুলিশকে অহেতুক ব্যতিব্যস্ত করে না তুললে যে পরিকল্পিতভাবে পুলিশের সব দিকে নজর রাখা সম্ভব, সে ব্যাপারটিও তাঁদের মনে করিয়ে দিয়েছেন পুলিশ সুপার।
আজ বিভিন্ন পুজো কমিটি এবং শহরের বিশিষ্ট নাগরিকদের নিয়ে সভা করেন পুলিশ কর্তারা। সেখানে অনেকেই যানজট, মদ বিক্রি, বিসর্জনে শৃঙ্খলা ইত্যাদি ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলেন। পুলিশ সুপার তাঁদের জানান, এ বছর পুলিশ আগে থেকে পরিকল্পনা করেই এগোচ্ছে। সকলের নিরাপত্তার কথা ভেবে কড়া অবস্থান গ্রহণ করা হবে। অন্য বছরের মতোই শহরে সিআরপি জওয়ানদের টহল চলবে। সতর্ক করা হয়েছে অন্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকেও। তবে তিনি বারবার জোর দিয়ে বলেন, ‘‘যে সব গুজব বা অনুমান নির্ভর কথাবার্তা চলছে সেগুলি একেবারে ভিত্তিহীন।’’ তিনি মনে করেন না, জেহাদিরা এখানে হামলার পরিকল্পনা করছিল। তিনি এখনও বিশ্বাস করেন, এই অঞ্চলকে নিরাপদ আত্মগোপনের জন্যই ব্যবহার করছিল তারা। ফলে এখানে উত্তেজনার পরিবেশ সৃষ্টি হোক, তা জেহাদি বা কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠন চাইবে না। কারণ এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হলে পুলিশি তৎপরতা বেড়ে যাবে, তাতে তাদের লুকিয়ে থাকারই সম্ভাবনাই কমে যাবে।
তবে বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত এবং প্রতিবেশী চার রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত বলে তিনি কাছাড় বা বরাক উপত্যকাকে পুরোপুরি নিরাপদ বলতেও পারেননি। পুলিশ সুপার বলেন, সকলের সতর্ক থাকা উচিত। অপরিচিত লোকদের সম্পর্কে খোঁজখবর রাখা প্রয়োজন। ঘরভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী থানায় ভাড়াটের নামধাম জানিয়ে রাখা আবশ্যক। জঙ্গির আশ্রয়দাতাদেরও আইনে কারাবাসের কথা উল্লেখ রয়েছে বলে পুলিশ সুপার জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy