প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল ছবি।
আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ নিয়ে টানা দু’দিন সংসদ অচল থাকার পরে সোমবার থেকে সংসদে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরতে পারে। কিন্তু এ নিয়ে বিরোধী শিবিরের মধ্যেই ফাটল রয়েছে। কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস-সহ অধিকাংশ দলই এখন মনে করছে, সংসদ অচল করে রেখে লাভ নেই। তার বদলে রাষ্ট্রপতির বক্তৃতার ধন্যবাদজ্ঞাপন প্রস্তাবে আলোচনার সময়েই শেয়ার দরে কারচুপির অভিযোগে অভিযুক্ত আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘বন্ধুত্ব’ নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে। কিন্তু এখনও দু’টি আঞ্চলিক দল মনে করছে, আলোচনায় রাজি হওয়া উচিত নয়।
আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ, তাদের শেয়ার দরে পতন ও এলআইসি, স্টেট ব্যাঙ্কে সঞ্চয়কারীদের মধ্যে আতঙ্ক নিয়েগত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সংসদ অচল থেকেছে।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, সোমবার সকালে কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে অন্যান্য বিরোধী দলগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। সেখানেই সংসদের রণকৌশল ঠিক হবে। যে দলগুলি হাঙ্গামা করে সংসদ অচল রাখতে আগ্রহী, তাদের বোঝানোর চেষ্টা হবে। তার পরে বিরোধী দলগুলি গান্ধী-মূর্তির সামনে বিক্ষোভ দেখাবে। তৃণমূলও তাতে যোগ দেবে। এ ছাড়া কংগ্রেস সোমবার গোটা দেশে এলআইসি-র দফতর, স্টেট ব্যাঙ্কের শাখার সামনেওবিক্ষোভ দেখাবে।
তৃণমূল চাইছে, আলোচনা হোক। সেখানেই এলআইসি থেকে স্টেট ব্যাঙ্কে সঞ্চয়কারীদের সংশয় নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে। আলোচনা না-হলে সরকারেরই সুবিধা। সরকারের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগই উঠবে না। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন টুইট করে বলেছেন, “বিজেপি আতঙ্কিত। তারা সংসদের আলোচনা থেকে পালাতে চায়। কিন্তু রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা নিয়ে সোমবার থেকে মোদী সরকারকে নিশানা করার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। যদি কোনও বিরোধী দল হাঙ্গামা করে, তা হলে বুঝতে হবে, তাদের সঙ্গে বিজেপির যোগসাজশ রয়েছে। তৃণমূল হাঙ্গামা নয়, আলোচনা চায়।”
কংগ্রেস-সহ অধিকাংশ বিরোধী দলের নেতাদের মতে, প্রথমে বিবিসি-র তথ্যচিত্র, তার পরে ‘মোদীর মিত্র’ আদানির সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগের জেরে প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি ধাক্কা খেয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদীকে আরও তোপ দাগা উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy