বিরোধী মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’ আজ বৈঠকে বসে স্থির করেছিল, ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জনের নামে ভোট ‘চুরির’ বিরোধিতা করে তারা সংসদের অধিবেশন চলতে দেবে না। সেই পরিকল্পনা মাফিক সংসদের দুই কক্ষেই আজ অধিবেশন অচল করল তারা। দফায় দফায় মুলতুবি হল অধিবেশন। সাংসদদের সেই হট্টগোলের মধ্যেই লোকসভায় গোয়ার নতুন জনজাতি বিল পাশ করিয়ে নিল সরকার। আবার রাজ্যসভায় হট্টগোলের মধ্যে মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসনের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাবও পাশ হয়ে গেল। তবে ন্যাশনাল স্পোর্টস গভর্ন্যান্স নিয়ে বিল এলে সেটিতে আপত্তির জায়গাগুলি নিয়ে কংগ্রেস বিরোধিতা করবে বলে ঠিক করেছে।
কথা ছিল, আগামী শুক্রবার সংসদ থেকে সব বিরোধী সাংসদ পদযাত্রা করে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে ভোট ‘চুরি’র বিরোধিতায় কমিশন ঘেরাও করবেন। কিন্তু ওই কর্মসূচি পিছিয়ে ১১ তারিখে করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাজনৈতিক সূত্রের মতে, এর অন্যতম কারণ, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ৮ তারিখে বেঙ্গালুরু যাচ্ছেন। তার আগে ৭ তারিখে ভোট ‘চুরি’ নিয়ে তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করবেন দিল্লিতে। কংগ্রেসের অভিযোগ, বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটার তালিকায় কারচুপি করে বিজেপি জিতেছিল। এই অভিযোগকেই তুলে ধরে বেঙ্গালুরুর ফ্রিডম পার্কে বিক্ষোভ সমাবেশে হাজির থাকবেন রাহুল। তার পর সেখান থেকে মিছিল করে বেঙ্গালুরুতে নির্বাচন কমিশনের দফতরে গিয়ে স্মারকলিপিজমা দেবেন।
আজ বিরোধীদের ভোটার তালিকা নিয়ে আলোচনার উত্তাল দাবির মধ্যেই ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ সাফ জানিয়ে দেন, নির্বাচন কমিশনের কাজ ও সিদ্ধান্ত নিয়ে সংসদে আলোচনা করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বরে বলরাম জাখরের দেওয়া রুলিং-এর উল্লেখ করেন তিনি। তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন জানিয়েছেন, সমস্ত বিরোধী দল ঐক্যবদ্ধ ভাবে সংসদের ভিতরে ও বাইরে ভোট ‘চুরি’ নিয়ে আগ্রাসী আন্দোলন চালিয়ে যাবে। আজ অধিবেশন কক্ষে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের মুখের ব্যঙ্গচিত্র নিয়ে গিয়ে প্রতিবাদ করেন বিরোধীরা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)