ইন্ডিগোর বিমানের ধোঁয়ায় ভরে যাওয়া কেবিন। ছবি- এক যাত্রীর টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে।
কলকাতা তখন আর খুব দূরে নেই। আর বড়জোর ৪৫ মিনিট। ঠিক ওই সময়েই আকাশে ধোঁয়ায় ভরে গেল গোটা বিমান। ককপিট, কেবিন, বাথরুম, সর্বত্র। শ্বাসকষ্ট হতে শুরু করল শিশুদের। ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা তখন বিমানের ১৩৬ জন যাত্রীর। বিপদ আঁচ করে ককপিট থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে ঢুকে পড়তে দেখা গেল বিমানসেবিকাদের। পাইলট তড়িঘড়ি বার্তা পাঠালেন কলকাতা বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে, জরুরি অবতরণের জন্য।
এই ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে জয়পুর থেকে কলকাতায় আসা ইন্ডিগোর বিমানে। যাত্রীদের বাঁচাতে বিমানটিকে জরুরি অবতরণ করানো হয় দমদমের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
তাঁর মোবাইলে গোটা ঘটনার ভিডিয়ো করেছিলেন এক যাত্রী। পরে তিনি সেই ভিডিয়ো টুইট করলে তা ভাইরাল হয়ে যায়।
Babies wailing, air hostesses on the standby with oxygen cylinders ... thick smoke in the cabin of a new IndiGo A-320neo which made an emergency landing in Kolkata last night. 136 passengers onboard. Smoke on a plane is a known killer. pic.twitter.com/VJGMIQoauk
— Vishnu Som (@VishnuNDTV) December 11, 2018
দমদমে জরুরি অবতরণের পর বিমানটির আপৎকালীন দরজা দিয়ে প্রাণভয়ে বেরিয়ে আসতে দেখা গিয়েছে, আর একটি ভিডিয়োতে।
After the IndiGo emergency landing in Kolkata ... some passengers were evacuated from a chute at the rear. The A-320neo is still grounded. Engineers still apparently unclear about what happened. pic.twitter.com/ssapifmsVo
— Vishnu Som (@VishnuNDTV) December 11, 2018
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, কলকাতা থেকে বিমানটি যখন আকাশে ছিল প্রায় ৪৫ মিনিট দূরত্বে, তখনই বিমানের পাইলট রেডিও ফোনে যোগাযোগ করেন দমদম বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে। বিমানটির জরুরি অবতরণের অনুমতি চান পাইলট।
আরও পড়ুন- মাঝ আকাশে মুখোমুখি দুই বিমান, অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন ৩২৮ জন যাত্রী
আরও পড়ুন- উইন্ডশিল্ডে ফাটল, কলকাতায় বিমানের জরুরি অবতরণ
পরে ইন্ডিগোর সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘কেবিন ধোঁয়ায় ভরে যেতে পারে এই আশঙ্কায় ‘এ-৩২০নিও’ এয়ারবাসটিকে জরুরি অবতরণ করাতে হয়েছে।’ যদিও যাত্রীদের তোলা ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, আকাশে থাকা অবস্থাতেই বিমানের কেবিন ভরে গিয়েছে ধোঁয়ায়।
বেসরকারি বিমান সংস্থার একটি সূত্রের খবর, কেন ওই ধোঁয়া, এখনও তা বুঝে উঠতে পারেননি ইঞ্জিনিয়াররা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy