Advertisement
২১ মে ২০২৪
Caste Census

বিহারে জাতসমীক্ষায় আর বাধা নেই, স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে পটনা হাই কোর্ট স্বস্তি দিল নীতীশকে

বিহার সরকারের জাতগণনার পদক্ষেপ সংবিধানের মৌলিক অধিকার এবং ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদের (সমতা ও সাম্যের অধিকার) পরিপন্থী বলে জনস্বার্থ মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছিল।

Nitish Kumar

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
পটনা শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০২৩ ১৫:৫৮
Share: Save:

বিহারে জাতভিত্তিক সমীক্ষায় ছাড়পত্র দিল পটনা হাই কোর্ট। গত ৪ মে জারি করা এ সংক্রান্ত স্থগিতাদেশ মঙ্গলবার হাই কোর্ট প্রত্যাহার করেছে। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সরকারের জাতসমীক্ষার বিরুদ্ধে যে জনস্বার্থ মামলাগুলি দায়ের হয়েছিল, তা-ও খারিজ করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রন এবং বিচারপতি পার্থ সারথির বেঞ্চ।

বিহার সরকারের তরফে গত জানুয়ারি মাসেই জাতভিত্তিক সমীক্ষার প্রথম পর্বের কাজ শেষ হয়েছে। পটনা হাই কোর্টের ছাড়পত্র পাওয়ায় দ্বিতীয় পর্বের কাজের পথে বাধা দূর হল। প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের আগে অনগ্রসর (ওবিসি) ভোটের লক্ষ্যে জেডিইউ নেতা নীতীশ এবং তাঁর সহযোগী আরজেডির নেতা তথা উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব জাতভিত্তিক গণনার দাবিতে আরও সুর চড়াবেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন। এ ক্ষেত্রে বিজেপির অস্বস্তি বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

গত নভেম্বরে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষদের জন্য সরকারি চাকরি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণের জন্য সুপ্রিম কোর্ট সিলমোহর দেওয়ার পরেই দেশ জুড়ে জাতভিত্তিক জনগণনার দাবি তুলেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ। বিহারে দ্রুত জেডি (ইউ)-আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের ‘মহাগঠবন্ধন’ সরকার শুরু করে জাতগণনা। বস্তুত, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আগেই গত ৬ জুন নীতীশ সরকার জাতগণনার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল।

এর পর বিহার সরকারের সেই পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল পটনা হাই কোর্টে। আবেদনকারী পক্ষের দাবি ছিল, নীতীশ সরকারের এই পদক্ষেপ ‘বৈষম্যমূলক এবং অসাংবিধানিক’। এই পদক্ষেপ সংবিধানের মৌলিক অধিকার এবং ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদের (সমতা এবং সাম্যের অধিকার) পরিপন্থী বলে অভিযোগ আবেদনকারীদের। বিহারে জাতগণনার প্রথম পর্ব ৭ থেকে ২১ জানুয়ারি হয়েছিল। ১৫ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় পর্ব ১৫ মে পর্যন্ত চলার কথা ছিল৷ কিন্তু তার আগেই গত ৪ মে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল পটনা হাই কোর্ট। সেই স্থগিতাদেশ মঙ্গলবার প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সরকারি চাকরি এবং শিক্ষাক্ষেত্রে ওবিসিদের জন্য এখন ২৭ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকে। কিন্তু ওবিসিদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৫০ শতাংশের কাছাকাছি। স্বাভাবিক ভাবেই তখন ওবিসিদের জন্য আরও বেশি সংরক্ষণের দাবি উঠবে। এই পরিস্থিতিতে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং চাকরিতে অসংরক্ষিত (জেনারেল) আসন আরও কমার সম্ভাবনা। সে ক্ষেত্রে মেধার উপর আঘাত আসবে বলে অভিযোগ জাতগণনার বিরোধী জনস্বার্থ মামলার আবেদনকারীদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Patna high court Nitish Kumar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE