রিকশা করে অখিলেশের দরবারে পেটিএম সিইও

এমনিতেই যানজটের জন্য ‘বিখ্যাত’ লখনউ! সেই যানজটের কথাই এ বার উঠে এল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের টুইটে।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় যানজটে ফেঁসে গিয়েছিলেন পেটিএম সংস্থার সিইও বিজয় শেখর শর্মা। শেষে রিকশার শরণাপন্ন হন তিনি। রিকশায় চেপেই পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রীর দরবারে!
গোটা ঘটনার কথা টুইট করেছেন অখিলেশ। জানিয়েছেন, যানজটের সমস্যা শীঘ্রই মিটে যাবে বলে আশাবাদী তিনি। অখিলেশ লিখেছেন, ‘‘যানজটের জেরে পেটিএম সিইও বিজয় শেখর শর্মা রিকশায় চেপে আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আসতে বাধ্য হলেন। আশা করি, লখনউ মেট্রো চালু হলে যানজটের সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি মিটে যাবে।’’
মুখ্যমন্ত্রীর এই টুইট নিয়ে নানা মজা করছেন সাধারণ মানুষ। এক জন প্রশ্ন করেছেন, ‘‘রিকশাওয়ালাকে উনি কী ভাবে টাকা দিয়েছেন? ক্যাশে না পেটিএম-এ’’ আর এক জন আবার লিখেছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে রিকশা ঢুকছে! এটা সমাজবাদী সরকারের ক্ষেত্রেই সম্ভব।’’
কী হয়েছিল বৃহস্পতিবার? একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে লখনউ গিয়েছিলেন বিজয় শেখর শর্মা। গতকাল সকালে মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের বাড়ি গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু রাস্তায় বেরিয়েই চক্ষু চড়কগাছ! ভয়াবহ যানজটের মধ্যে পড়ে তাঁর গাড়ি। সময় নষ্ট হচ্ছে দেখে অনেক ভেবেচিন্তে চড়ে বসেন এক রিকশায়। সেই রিকশাই বিজয়কে তাঁর গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। তবে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছে নিরাপত্তা রক্ষীদের নানাবিধ প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। তার সঠিক জবাব দিয়ে তবেই ছাড় পান বিজয়। যানজটের মধ্যেও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য বিজয়ের এমন উৎসাহ দেখে আপ্লুত খোদ মুখ্যমন্ত্রী।
এত কিছুর পর অবশ্য ভাগ্য খুলেছে রিকশাচালক মনিরামের। দেওয়ালিতে মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে ৬০০০ টাকা পেয়েছেন মনিরাম। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে একটি বাড়ি, ই-রিকশা দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সেই সঙ্গে, ওই রিকশাওয়ালার স্ত্রীর জন্য সমাজবাদী পেনশন চালু করারও আশ্বাস দিয়েছেন। ফলে এই যানজটই আশার আলো দেখাচ্ছে মনিরামের পরিবারকে।