আরাবল্লি পর্বতমালা বাঁচাতে পথে নেমেছেন রাজস্থান ও হরিয়ানার মানুষ। ক্রমশ তীব্র হচ্ছে আন্দোলন। বিক্ষোভ, ধর্না আর প্রতীকী অনশনের সঙ্গে প্রতিবাদ চলছে সমাজমাধ্যমেও। এই আবহে কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব দাবি করেছেন, আরাবল্লির ৯০ শতাংশ এলাকাই সংরক্ষিত, তার কোনও ক্ষতি হবে না।
গুজরাত, রাজস্থান, হরিয়ানা এবং দিল্লি— এই চারটি রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে থাকা আরাবল্লিতে খনির অনুমতি দেওয়ার মানদণ্ডের অসঙ্গতি রয়েছে। সেই সূত্রে সুপ্রিম কোর্ট ২০২৪ সালে একটি কমিটি গড়েছিল আরাবল্লির ‘অভিন্ন সংজ্ঞা’ সুপারিশের জন্য। ২০ নভেম্বর শীর্ষ আদালত নতুন সংজ্ঞা গ্রহণ করেছে। যাতে বলা হয়েছে যে, ওই অঞ্চলের সমতল থেকে ১০০ মিটার বা তার বেশি উঁচু পাহাড়গুলিই ‘আরাবল্লি’ হিসেবে গণ্য হবে। আরাবল্লির বেশির ভাগ পাহাড়ই তার থেকে কম উঁচু। পরিবেশবিদরা বলছেন, দু’শো কোটি বছরের পুরনো ভারতের প্রাচীনতম এই পর্বতমালার নিচু টিলাগুলি কাটা হলে থর মরুভূমি ক্রমশ এগিয়ে আসবে উত্তর ভারতের দিকে। নতুন সংজ্ঞার ফলে অঞ্চলটি কার্যত খনি মাফিয়াদের অভয়ারণ্য হয়ে উঠবে বলেও আশঙ্কা। পরিবেশকর্মীরা প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি লিখে রায় পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন ইতিমধ্যে।
আদালত অবশ্য স্থিতিশীল খনি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত ওই চার রাজ্যে নতুন কোনও খনির ইজারা দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে। ভূপেন্দ্রর দাবি, আরাবল্লির ৯০ শতাংশ এলাকা এখনও সংরক্ষিত থাকবে। পুরো পর্বতমালার মাত্র ০.১৯ শতাংশ এলাকায় খননের অনুমতি রয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলির দাবি, প্রাকৃতিক সম্পদ বেসরকারি হাতে তুলে দিতে, বিশেষত বিজেপির কিছু ঘনিষ্ঠ শিল্পপতিকে পাইয়ে দিতেই কেন্দ্র সুকৌশলে পরিবেশ আইনের ফাঁক তৈরি করছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)