রাজ আমলের নথি দেখিয়েও নাম ওঠেনি অসমের নাগরিকপঞ্জিতে। কেউ কেউ পুরনো আমলের ভোটার তালিকা জমা করেছিলেন, তাতেও কাজ হয়নি। এ বারে সেই সব নথি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে চান একাধিক বাসিন্দা।
তাঁর মধ্যে কোচবিহার ও অসমের বাসিন্দারাও রয়েছেন। রবিবার কোচবিহারে তৃণমূলের নেতা প্রবাল গোস্বামীর বাড়িতে হাজির হন ওই বাসিন্দারা। সেখানে ওই বাসিন্দাদের তরফে কয়েকজন জানান, এক অনিশ্চয়তার মধ্যে দিয়ে তাঁদের দিন কাটছে। এত নথিপত্র জমা দেওয়ার পরেও কেন নাম তোলা হচ্ছে না, তা বুঝতে পারছেন না তাঁরা। প্রবালবাবু জানান, তিনি প্রশাসনের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার আবেদন জানাবেন। যাতে নাগরিকপঞ্জি নিয়ে সমস্যায় পড়া এই সমস্ত মানুষের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ করিয়ে দেওয়া যায়। প্রবালবাবু বলেন, “আগেই বিষয়টি আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি। তিনি সেই বিষয়ে অবহিত আছেন। এ বার ভুক্তভোগীদের সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলানোর চেষ্টা চলছে।”
কোচবিহারের বহু বাসিন্দা কর্মসূত্রে এবং বিবাহসূত্রে অসমের বাসিন্দা। সেই বাসিন্দাদের একটি বড় অংশের নাম অসমের নাগরিকপঞ্জিতে নেই। কোকরাঝাড়ের গোঁসাইগাও থেকে এ দিন কোচবিহারে এসেছিলেন বলরাম সরকার। তিনি জানান, তাঁর বাবা কোচবিহারের শীতলখুচির বাসিন্দা ছিলেন। কর্মসূত্রে অসমে গিয়ে বসবাস শুরু করেন। তাঁর জন্ম হয়েছে অসমে। তাঁরা চার ভাই। তাঁর মা জীবিত রয়েছেন। তাঁর স্ত্রীর নাম অসমের নাগরিকপঞ্জিতে থাকলেও, তাঁদের কারও নাম ওই তালিকায় নেই।একইরকম ভাবে আব্দুল আজিজ, আব্দুল হাকিম তাঁদের মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন অসমে। সেই মেয়েদের কারও নাম নেই।