হাসপাতাল চত্বরে ঘুরে বেড়াচ্ছে শুয়োর। ছবি: সংগৃহীত।
যত্রতত্র পড়ে রয়েছে নোংরা। চারিদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে শুয়োর। আর সেই নোংরার মধ্যেই চলছে রোগী এবং তাঁদের পরিজনদের বাসন মাজা থেকে কাপড় কাচা। বুধবার এমনই দৃশ্য দেখা গেল মহারাষ্ট্রের নান্দেড়ের সেই সরকারি হাসপাতালে। কে বলবে দু’দিন আগেই মৃত্যুমিছিল দেখা গিয়েছিল হাসপাতালটিতে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হয়েছিল হাসপাতালে ভর্তি থাকা ৩১ জন রোগীর। যাদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিল নবজাতক।
রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, হাসপাতালে এত জনের মৃত্যুর পরও পরিচ্ছন্নতা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি। চারিদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে নোংরা।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, নান্দেড়ের সেই সরকারি হাসপাতালের ড্রেনগুলিতে প্লাস্টিকের বোতল আটকে রয়েছে। চারদিকে দুর্গন্ধ। হাসপাতালের ক্যান্টিনের পাশেই খোলা ড্রেন। সেই ড্রেনে অবাধে বিচরণ করছে শুয়োর। যার ফলে হাসপাতালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। হাসপাতালে এত জনের মৃত্যুর পরেও কেন কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি, সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।
হাসপাতালের এক রোগীর পরিজনের দাবি, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে এই পরিস্থিতিই চলছে। শুয়োর প্রতি দিন এখানে ঘোরাফেরা করে। আবর্জনা খায়। আমরা হাসপাতালের শৌচাগার ব্যবহার করতে পারি না। আমরা এখানে অনেক সুবিধাই পাই না। ওষুধের জন্য বাইরে যেতে হয়। এখানে কিছুই পাওয়া যায় না। আপনার কাছে টাকা না থাকলে আপনার সন্তান মারা যাবে। গরিব মানুষ কোথায় যাবে?’’ প্রসূতি বিভাগের অবস্থাও খুব খারাপ বলে দাবি করেছেন রোগীদের আত্মীয়েরা।
প্রসঙ্গত, রবিবার গভীর রাত থেকে সোমবার সকালের মধ্যে মৃত্যু হয়েছিল ২৪ জনের। সোমবার রাতেই আবার সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ জন নবজাতক। মঙ্গলবারই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে সরকার হাসপাতালের মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে হাসপাতালে ওষুধের ঘাটতি রয়েছে বলে মানতে অস্বীকার করেছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy