কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন (বাঁ-দিকে) এবং তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। ছবি: সংগৃহীত।
প্রস্তাবিত আইএএস ক্যাডার রুলের বিরোধিতায় এ বার মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে যোগ দিলেন আরও দুই মুখ্যমন্ত্রী। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এবং তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন পৃথক ভাবে চিঠি লিখে প্রস্তাবিত পরিবর্তনের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। স্ট্যালিন লিখেছেন, কেন্দ্রের প্রস্তাবিত এই পরিবর্তন দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর মূলে আঘাত করবে। এই পদক্ষেপ রাজ্য়ের স্বাধিকারেও হস্তক্ষেপের শামিল। বিজয়ন এই পরিকল্পনা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে লিখেছেন, এর ফলে রাজ্যের বিভিন্ন নীতি রূপায়ণের ক্ষেত্রে আইএএস অফিসারদের মধ্য়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হবে।
এই ধরনের নিয়ম কার্যকর হলে আইএএস অফিসারেরা তাঁদের কার্যকাল জুড়ে শাস্তির ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকবেন। এর ফলে ভারতে যে শক্তপোক্ত আমলাতন্ত্রের ভিত্তি রয়েছে তা নড়বড়ে হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দুই মুখ্যমন্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী দু’বার চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। বিজয়নের মতে প্রস্তাবিত রুল কার্যকর হলে সামঞ্জস্যের অভাব হবে। বর্তমানে যে ডেপুটেশন রুল রয়েছে তা ইতিমধ্য়েই কেন্দ্রের দিকে অনেকটা ঝুঁকে রয়েছে। তিনি লিখেছেন, ‘প্রস্তাবিত সংশোধনের ফলে অফিসারদের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্যের নীতি রূপায়ণের ক্ষেত্রে দ্বিধাগ্রস্ততা দেখা দেবে। বিশেষত কেন্দ্রে যদি রাজ্যের বিরোধী কোনও রাজনৈতিক দল ক্ষমতাসীন থাকে।’
স্ট্যালিন লিখেছেন, ‘আমি স্পষ্ট জানাতে চাই কেন্দ্রের ভ্রান্ত ক্যাডার ব্যবস্থাপনা নীতির কারণে অনেক রাজ্যেই বরিষ্ঠ আইএএস আধিকারিকদের সংখ্যা অপ্রতুল।’
কেন্দ্রের প্রস্তাবিত এই সংশোধন ইতিমধ্যেই অ-বিজেপি রাজ্যগুলি থেকে ব্যাপক বিরোধিতার সম্মুখীন হয়েছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত, ছত্তীসগঢ়ের ভূপেশ বাঘেল, এবং ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সরেনও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে এর বিরোধিতা করেছেন।
কেন্দ্র অবশ্য সাফাই দিয়েছে, রাজ্য়েগুলি আইএস অফিসারদের ছাড়তে না চাওয়ায় কেন্দ্রের বিভিন্ন কাজে সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy