রাজনৈতিক কারণে কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহারের অভিযোগ তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে ক্রমাগতই তুলে চলেছে বিরোধীরা। নরেন্দ্র মোদীও দুর্নীতিগ্রস্তদের জেলে পাঠানোর হুঙ্কার দিয়ে চলেছেন। এ বার এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী দাবি করলেন, ইডি যত তদন্ত চালাচ্ছে, তার মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশের সঙ্গে রাজনীতিকদের যোগ রয়েছে। বাকি ৯৭ শতাংশ মামলাই রয়েছে বিভিন্ন কর্তা এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে। ইডি তাদেরও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। অথচ এই বিষয়টি নিয়ে বেশি কথা হয় না।
সাক্ষাৎকারে মোদী বলেন, ‘‘আপনারা শুধু রাজনৈতিক দুর্নীতির কথাই শোনেন। যাঁরা তদন্তকারী সংস্থার নজরে পড়েছেন, তাঁরাই সেগুলো ছড়িয়ে থাকেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপে আমি দায়বদ্ধ। বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’ এই সূত্রেই মোদী জানান, ইডি-র মোট মামলার মাত্র তিন শতাংশই রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ইডি বহু দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসারকেও গ্রেফতার করেছে। সেই সব অফিসার, অপরাধী, মাদক ব্যবসায়ীদের কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ২০১৪ সালের আগে ইডি মাত্র ৫০০০ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল। গত ১০ বছরে সেটাই ১ লক্ষ কোটি ছাপিয়ে গিয়েছে। ২০১৪-র আগে ইডি নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছিল মাত্র ৩৪ লক্ষ। সেখানে তাঁর আমলে ২২০০ কোটিরও বেশি নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে মোদী দাবি করেন। তাঁর অভিযোগ, এই দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থায় যারা মুনাফা দেখেছে, তারাই অন্যায় হয়েছে বলে শোরগোল বাধিয়ে মানুষের কাছে ভুল ছবি তুলে ধরার চেষ্টা করছে।
কংগ্রেসের উদ্দেশে মোদীর কটাক্ষ, সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার নিয়ে পাঁচ-ছয় দশক ধরে দেশ শাসন করে তারা শুধুমাত্র পরিবারকে মজবুত করেছে। কিন্তু বিজেপি গত এক দশকে মজবুত করেছে দেশকে। মোদীর দাবি, এনডিএ যে ক্ষমতায় ফিরবে, তা বিরোধীরাও মনে করছে। তিনি বলেন, ‘‘গত ১০ বছরে আপনারা শুধু ট্রেলার দেখেছেন। আরও অনেক কাজ করা বাকি।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)