চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের ফলের পরে রাজনৈতিক শিবিরের মতামত ছিল, ‘মোদী তরঙ্গে’ ঘাটতি পড়েছে। শুধুমাত্র তাঁর নামে নয়, ভোট দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে স্থানীয় সুবিধে অসুবিধে, সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর উপরে আস্থার ভিত্তিতে। দিল্লি ভোটের মুখে আজ মোদীর দীর্ঘ বক্তৃতার বড় অংশে জুড়ে ছিল স্থানীয় জল সমস্যার কথা এবং আপের মোকাবিলা করতে গিয়ে বিভিন্ন স্থানীয় সমস্যা নিরসন নিয়ে প্রতিশ্রুতি দিলেন। গত কাল হরিয়ানার বিজেপি সরকার যমুনার জলে বিষ মিশিয়ে দিয়ে দিল্লিতে জল-সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন আম আদমি পার্টি (আপ)-এর আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরীওয়াল।
আজ তাঁর বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় সরকার কী ভাবে ‘নল সে জল’ প্রকল্পকে জোরদার করে গত পাঁচ বছরে ১২ কোটি পরিবারের কাছে জল পৌঁছে দিয়েছে, তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন মোদী। দিল্লির যানজট, দূষণ, ভাঙা রাস্তা, খোলা নর্দমার মতো বিষয়গুলি নিয়েও সরব হন তিনি। তাঁর কথায়, “গোটা দেশে যদি আমরা নল থেকে বিশুদ্ধ জল পৌঁছে দিতে পারি, তা হলে কেন দেশের রাজধানীতে পারব না? গত পঁচিশ বছর আপনারা কংগ্রেস, আপদা (আপ) সরকারকে দেখেছেন। এক বার পদ্ম ফুটিয়ে দেখুন।”
এর পরেই হরিয়ানার জলে বিষ মেশানো নিয়ে কেজরীওয়ালের অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়েছেন মোদী। বলেন, “দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী যে ঘৃণ্য অভিযোগ হরিয়ানার বিরুদ্ধে এনেছেন, তা সেই রাজ্যের একটি বাচ্চাও ভুলবে না। হরিয়ানার সরকার তাদের জলে বিষ মেশাবে? দেশের প্রধানমন্ত্রীও ওই জল পান করেন। দেশের সমস্ত সম্মানিত সদস্যরাও করেন। বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের কর্তারাও। তা হলে কি বলতে হবে হরিয়ানা সরকার মোদীকে বিষ খাওয়ানোর ষড়যন্ত্র করছে? এটা হরিয়ানাই নয়, গোটা দেশের অপমান, ভারতীয় সংস্কৃতির ও সংস্কারের অপমান।”
মোদীর প্রতিশ্রুতি, বিজেপি সরকার এলে দিল্লির সমস্ত বস্তিবাসী পাকা ঘর পাবেন, বিশুদ্ধ পানীয় জল পাবেন। জলের পাইপলাইন, পয়ঃপ্রণালীর সংস্কার হবে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)