নরেন্দ্র মোদী।
ভোট শেষ। ভোটযন্ত্রে দায় না চাপিয়ে ভোট সংস্কারে বিরোধীদের মন দিতে বললেন প্রধানমন্ত্রী।
রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির বক্তৃতার ধন্যবাদ জ্ঞাপন বিতর্কের জবাবে মোদী আজ জোর দেন ‘এক দেশ, এক ভোট’ রূপায়ণে। ইভিএম-এর ঘাড়ে দায় চাপিয়ে বিরোধীরা যেন পথের কাঁটা না হয়, সেটাই নিশ্চিত করতে চেয়ে তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস বলছে, আমরা ভোটে জিতেছি, কিন্তু দেশ হেরেছে। জনতা আর গণতন্ত্রের এত বড় অপমান হয় না। তা হলে কি ওয়েনাড়, রায়বরেলী, তিরুঅনন্তপুরম, বহরমপুরে ভারত হেরেছে?’’ দৃশ্যতই এ খোঁচা ছিল রাহুল গাঁধীদের উদ্দেশে। যিনি অমেঠীতে হেরে ওয়েনাড়ে জিতেছেন। রায়বরেলী সনিয়া, বহরমপুর অধীর চৌধুরী, তিরুঅনন্তপুরম শশী তারুরের কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রীর কটাক্ষ, ‘‘কংগ্রেস হেরেছে বলে এখন দেশের হার। কংগ্রেস মানে দেশ, দেশ মানে কংগ্রেস?’’
এই আক্রমণের উদ্দেশ্যই ছিল একসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা ভোট করানোর জন্য বিরোধীদের উপর চাপ তৈরি। সম্প্রতি এই নিয়ে সর্বদল বৈঠক ডাকা হলেও কংগ্রেস শামিল হয়নি। মোদীর কথায়, অন্তত আলোচনা তো হোক। কমপক্ষে কেন্দ্র ও রাজ্যে আইন করে অভিন্ন ভোটার তালিকা তো তৈরি হোক। তাঁর দাবি, একসঙ্গে ভোট হলে কেন্দ্রে শাসক দলের লাভ, এ যুক্তি ভুল। সম্প্রতি ওড়িশার ভোটই তার প্রমাণ। কংগ্রেস নেতাদের মনে করান প্রধানমন্ত্রী, ইভিএমেই হালে বিধানসভা জিতেছেন তাঁরা। আইন করে ইভিএম চালু হয় কংগ্রেস জমানাতেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy