ওয়েনাড় পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার দুপুরে। ছবি: পিটিআই।
ধসে বিপর্যস্ত ওয়েনাড় পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার সকাল ১১টায় কান্নুর বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রীর বিমান। তার পর বায়ুসেনার হেলিকপ্টারে ওয়েনাড়ের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। আকাশপথে ঘুরে দেখেন ধসে বিপর্যস্ত ওয়েনাড়ের তিন গ্রাম চুড়ালমালা, মুন্ডাক্কাই এবং পুঞ্চিরিমত্তোম। কপ্টারে মোদীর সঙ্গে ছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, সে রাজ্যের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কেরলের বিজেপি সাংসদ সুরেশ গোপী।
আকাশপথে ধসের উৎপত্তিস্থল পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। তার পর সড়কপথেও বিপর্যস্ত কয়েকটি এলাকায় যান তিনি। ধসের জেরে গৃহহীন হয়ে পড়া দশ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন আশ্রয় শিবিরে। সেই আশ্রয় শিবিরেও যেতে পারেন মোদী। তার পর এই বিপর্যয় এবং উদ্ধারকাজের বিষয়ে সবিস্তারে জানতে পর্যালোচনা বৈঠকে বসার কথা রয়েছে তাঁর।
শুক্রবারই মোদীর ওয়েনাড় সফরকে স্বাগত জানিয়ে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করেন সেখানকার প্রাক্তন সাংসদ তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। রাহুল লেখেন, “ওয়েনাড়ের পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য মোদীজিকে ধন্যবাদ। এটা ভাল সিদ্ধান্ত। আমি আশা করি প্রধানমন্ত্রী ওয়েনাড়ের দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি নিজের চোখে দেখার পর এটিকে জাতীয় বিপর্যয় বলে ঘোষণা করবেন।”
প্রসঙ্গত, ভূমিধসের জেরে ওয়েনাড়ে ৩০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অনেকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। কাদামাটির স্তূপের তলায় চাপা পড়ে বসতি। কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলির সাংসদেরা ওয়েনাড়ের পরিস্থিতিকে ‘জাতীয় বিপর্যয়’ ঘোষণার দাবি তুলেছেন। তবে ইউপিএ-২ আমলে সরকার পক্ষের বক্তব্যকেই ‘অস্ত্র’ করে এর জবাব দিয়েছে বিজেপি। বিজেপির বক্তব্য, ইউপিএ আমলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী মুল্লাপল্লি রামচন্দ্রন উল্লেখ করেছিলেন “প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে জাতীয় বিপর্যয় হিসাবে ঘোষণা করার কোনও নিয়ম কোথাও উল্লেখ করা নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy