গুজরাতে ভোটপ্রচারে মোদী। ছবি পিটিআই।
রবিবার থেকে গুজরাতে ভোটের প্রচার শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রচারের প্রথম পর্বেই বিরোধীদের উদ্দেশে তোপ দাগলেন তিনি। সমবেত জনতার উদ্দেশে বললেন, “যাঁরা নর্মদা বাঁধ প্রকল্পের বিরুদ্ধে তাঁদের ভোট দেবেন না।”
গুজরাতের ভোটে বহুদিন পর ফিরে এসেছে নর্মদা বাঁধ প্রসঙ্গ। তার প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছিল সপ্তাহখানেক আগেই। কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল ‘নর্মদা বাঁচাও আন্দোলনে’র অন্যতম প্রধান মুখ মেধা পাটকরকে। রবিবার সেই প্রসঙ্গেই রাহুল এবং মেধার তীব্র সমালোচনা করেন মোদী। বলেন, “এক কংগ্রেস নেতাকে একটি পদযাত্রায় এমন এক জনের সঙ্গে দেখা গিয়েছে, যিনি তিন দশক ধরে নর্মদা বাঁধ প্রকল্পকে আটকে রেখেছেন।” এই প্রকল্পকে গুজরাতের ‘জীবনরেখা’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
একই সঙ্গে জনতার উদ্দেশে গুজরাতের প্রাক্তন এই মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, “কংগ্রেস ভোট চাইতে এলেই বলুন, আপনাদের নেতা এমন এক জনের সঙ্গে হাঁটছেন, যিনি নর্মদা প্রকল্পের বিরুদ্ধে।” শনিবারই বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা গুজরাতে ভোটপ্রচারে এসে মেধাকে নর্মদা এবং গুজরাত বিরোধী বলে উল্লেখ করেছেন। দাবি করেছেন, মেধার আন্দোলনের জন্যই নর্মদার জল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সৌরাষ্ট্রের মানুষরা। আক্রমণের এই সুর বজায় রেখেই গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল রাহুলকে আক্রমণ করে টুইট করেন। টুইটে তিনি লেখেন, “গুজরাতিদের জল থেকে বঞ্চিত করেছেন যাঁরা, তাঁদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন রাহুল। গুজরাত তাঁদের ক্ষমা করবে না।”
প্রসঙ্গত, সমাজকর্মী হিসাবে পরিচিত মেধার সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক আগাগোড়াই ‘মধুর’। ২০১৭ সালেও গুজরাত সরোবর বাঁধ নিয়ে নিজের আপত্তির কথা জানিয়ছিলেন মেধা। নর্মদা প্রকল্প সম্পর্কে মেধা জানিয়েছিলেন যে, বাঁধ নির্মাণের জন্য এক হাজার দলিত পরিবার বাস্তুচ্যুত হবে। ১ ডিসেম্বর গুজরাতে প্রথম দফার নির্বাচন। দ্বিতীয় দফার নির্বাচন ৫ ডিসেম্বর। ৮ ডিসেম্বর ফলাফল ঘোষিত হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy