প্রতীকী ছবি।
একটি বিয়ে এবং তার অনুষ্ঠান। অন্যটি এক মহিলার মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা। দু’টি আপাত পৃথক ঘটনাই এমন এক সন্ধিক্ষণে জুড়ে গেল, যে পুলিশ থেকে বিয়েবাড়ির অতিথি সবাই হতবাক।
গত সোমবার সকালেই মুম্বইয়ের শিবাজি নগরের বাসিন্দা অজয় সুনীল ধোটে বান্দ্রা কোর্টে বিয়ে করেন। সন্ধেয় ছিল সেই বিয়ের পার্টি। অতিথি-অভ্যাগতদের ভিড়ে সন্ধে থেকে জমজমাট বিয়ে বাড়ি। মধ্যমণি বর অজয় এবং তাঁর বন্ধু আলতাফ মির্জা। খাওয়া-দাওয়া, আদর-আপ্যায়ন, আচার-অনুষ্ঠান সবই চলছিল নিয়ম মেনেই।
অন্য দিকে, রবিবারই থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন এক মহিলা। তিলক নগর থানায় একটি মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই মহিলা। চেম্বুর এলাকায় মেয়েকে নিয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় মোবাইলে কথা বলছিলেন। বাইকে করে দুই দুষ্কৃতী এসে তাঁর মোবাইল ছিনতাই করে নিয়ে বাইকে উধাও হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: গলায় চার্জারের তার পেঁচিয়ে খুন রজত! অবশেষে গ্রেফতার স্ত্রী অনিন্দিতা
তদন্তে নেমে প্রথমে কিছুটা বেগ পেতে হয় পুলিশকে। কারণ, ওই এলাকায় সিসিটিভি ফুটেজে ঠিকমতো ধরা পড়েনি দুষ্কৃতীদের ছবি। কারণ তারা হেলমেট পরে ছিল। আবার বাইকটি ২২০ সিসি, এটা মোটামুটি নিশ্চিত হতে পারলেও তার নম্বর প্লেটের উপর টেপ সাঁটানো ছিল। ফলে নম্বরও মেলেনি। তবু হাল না ছেড়ে স্থানীয় দুষ্কৃতী ও নিজস্ব ‘সোর্স’-এর মাধ্যমে এক মোবাইল ছিনতাইবাজ জুটির সন্ধান পায়। সেই মতো ঠিকানাও জোগাড় হয়। অবশেষে পরের দিনই দুই ছিনতাইবাজকে ধরতে হানা দেয় পুলিশ।
আরও পডু়ন: ওলা চালককে অপহরণ, স্ত্রীকে ভিডিয়ো কলে নগ্ন হতে বাধ্য করল দুষ্কৃতীরা
কিন্তু ধরতে গিয়ে তো পুলিশ হতবাক। কারণ যে ঠিকানায় গিয়ে পুলিশ হাজির হয়, সেখানে চলছিল বিয়ের পার্টি। পাত্র অজয় সুনীল ধোটেই সেই মোবাইল ছিনতাইবাজ। তখনও তাঁর সঙ্গেই দুষ্কর্মের সঙ্গী আলতাফ মির্জা। সেই বিয়ের আসর থেকেই দু’জনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ। ঘটনা সোমবারের হলেও পুলিশ সূত্রে সেই খবর সামনে আসে শনিবার।বিয়ের পর কনে-বিদায়ই রীতি। কিন্তু এ তো উলট পুরান। কনের বদলে বিদায় হল বরের। সঙ্গে বরের অন্তরঙ্গ বন্ধুও। বাসরঘরের বদলে বরের জায়গা হল শ্রীঘরে।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy