অশান্তির জেরে বাড়ি ছেড়েছিলেন স্ত্রী। সেই স্ত্রীকে আবার বাড়িতে ফেরানোর জন্য ‘কালো জাদু’ করার চেষ্টা করেন রাজস্থানের এক বাসিন্দা। দাবি করা হচ্ছে, সেই প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজন ছিল এক শিশুর রক্ত এবং যকৃত। তা জোগাড় করতে নিজেরই ছ’বছর বয়সি ভাগ্নেকে খুনের অভিযোগ উঠল ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং এক স্বঘোষিত ‘তান্ত্রিক’কে ইতিমধ্যে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রাজস্থানের অলওয়ার জেলার ওই শিশু গত শনিবার হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে সেই দিনই সন্ধ্যায় এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে খড়ের গাদার মধ্যে থেকে তার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার গলায় ধারালো কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরে দেখা যায়, তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় সিরিঞ্জ ফোটানোর চিহ্ন রয়েছে। তা দেখে পুলিশের সন্দেহ, ওই শিশুর শরীর থেকে রক্ত বার করেছিলেন অভিযুক্তেরা।
সেই সূত্র ধরে তদন্ত এগোতে থাকে পুলিশ এবং সোমবার গ্রেফতার করে ওই শিশুর মামাকে। পুলিশি জেরায় ভেঙে পড়েন তিনি। স্বীকার করে নেন খুনের কথা। এক ‘তান্ত্রিক’-এর কথায় তিনি ওই শিশুকে খুন করেছেন, তা-ও জানান পুলিশকে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবারই অভিযুক্ত ‘তান্ত্রিক’-কেও গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, পারিবারিক অশান্তির কারণে অভিযুক্ত ব্যক্তির স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। এ দিকে ওই ব্যক্তি স্ত্রীকে বাড়িতে ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন। সেই সময়েই এই স্বঘোষিত ‘তান্ত্রিক’-এর সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। ওই ‘তান্ত্রিক’ তাঁকে আশ্বাস দেন স্ত্রীকে আবার শ্বশুরবাড়িতে ফিরিয়ে আনবেন। এর জন্য ১২ হাজার টাকা, একটি শিশুর রক্ত এবং যকৃত লাগবে।
আরও পড়ুন:
পুলিশি তদন্তে উঠে আসে, গত শনিবার দোকান থেকে লজেন্স কিনে দেওয়ার অছিলায় ভাগ্নেকে বাড়ি থেকে বার করে নিয়ে যান অভিযুক্ত। এর পরে গ্রামেরই একটি শুনশান এলাকায় এক পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যান তিনি। সেখানে সিরিঞ্জ ফুটিয়ে শিশুর শরীর থেকে রক্ত বার করার চেষ্টা করেন অভিযুক্ত। এর পরে তাকে শ্বাসরোধ করে তাকে খুন করেন বলে অভিযোগ। পরে ধারালো কিছু দিয়ে গলায় আঘাতও করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটিকে খুন করার পর সেখানেই খড়ের গাদার মধ্যে দেহটি চাপা দিয়ে চলে গিয়েছিলেন তিনি। ভেবেছিলেন পরে দেহ কেটে যকৃত বার করবেন। কিন্তু তার আগেই দেহটি পুলিশের নজরে চলে আসে।