প্রতীকী ছবি।
অপরাধীদের মালা পরিয়ে স্বাগত জানালে অপরাধ না কমা নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে ফল হবে না বলে মন্তব্য করলেন বিহার পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল গুপ্তেশ্বর পাণ্ডে। তেলঙ্গানা খুন-ধর্ষণে চার অভিযুক্তের পুলিশি সংঘর্ষে মৃত্যু প্রসঙ্গে মুখ খুলে প্রায় একই কথা বলেছেন আরও কয়েক জন আইপিএস অফিসার।
আজ বেগুসরাইয়ে অপরাধ কমানো নিয়ে প্রশ্নের জবাবে গুপ্তেশ্বর বলেন, ‘‘ধর্ম, জাত ও রাজনৈতিক দলের নামে অপরাধীদের মালা পরানো হয়। অনেক ক্ষেত্রে তাদের প্রায় নায়কের আসনে বসানো হয়। পরে প্রশ্ন তোলা হয়, অপরাধ কমছে না কেন?’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘অপরাধের সংস্কৃতি রুখতে সকলে সচেতন না হলে অপরাধ কমা সম্ভব নয়।’’
চলতি বছরেই ঝাড়খণ্ডের রামগড়ে আলিমুদ্দিন আনসারিকে পিটিয়ে খুনে অভিযুক্ত আট জনের গলায় মালা দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়ন্ত সিন্হা। গত মাসে ঝাড়খণ্ডের ডাল্টনগঞ্জে খুনের মামলায় অভিযুক্ত কুশওয়াহা শশীভূষণ মেহতার সঙ্গে একই মঞ্চে বসেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফলে বিহারে নীতীশের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের শরিক ও কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির পক্ষে গুপ্তেশ্বরের মন্তব্য অস্বস্তিকর বলে মনে করছেন রাজনীতিকেরা। প্রায় গুপ্তেশ্বরের সুরেই ওড়িশায় নিযুক্ত আইপিএস অরুণ বোথরার বক্তব্য, ‘‘উন্নত বিচার ব্যবস্থা না চেয়ে সমাজ গোটা দায় পুলিশের উপরে চাপিয়ে দিলে সংঘর্ষে খুনের মতো ঘটনা ঘটে। সমাজ সচেতন হলে তবেই পুলিশ যথাযথ ভাবে কাজ করতে পারে।’’ গুপ্তেশ্বরের বক্তব্যের ভিডিয়োও টুইট করেছেন বোথরা। আইপিএস পঙ্কজ নৈনের মতে, ‘‘বিচারে দেরির অর্থ বিচার না পাওয়া। আর দ্রুত বিচারের অর্থ বিচারকে কবর দেওয়া।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy