শ্রমিকদের সঙ্গে স্থানীয় বিজেপি নেতা দীপক শর্মা। ভিডিয়ো থেকে প্রাপ্ত ছবি।
গত বছর লকডাউনের সময় কাজ হারিয়েছিলেন মেরঠের বস্তিবাসীদের একাংশ। তাঁদের অনেকেই মালবহনের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সে সময় টাকা, প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে তাঁদের সাহায্য করেন আশপাশের আবাসনের কিছু বাসিন্দা। তাঁদেরই কেউ কেউ এই শ্রমিকদের খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণের জন্য জোর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বিজেপি নেতা দীপক শর্মার নেতৃত্বে বস্তিবাসীদের একাংশ থানায় গিয়ে এই বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার আর্জি জানান। মোট ন’জনের বিরুদ্ধে তাঁরা অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তাঁদের অভিযোগ, ওই ন’জন তাঁদের গির্জায় যাওয়ার জন্য ‘জোর’ করতেন। বলতেন যে, “এখন থেকে যিশুই একমাত্র ঈশ্বর।” এমনকি তাঁদের অভিযোগ, হিন্দু দেবদেবীদের মূর্তি ভেঙে দেওয়ার জন্যও চাপ সৃষ্টি করা হত।
বস্তিবাসীদের এক জনের কথায়, “লকডাউনে আমাদের কাজ চলে গিয়েছিল। কী ভাবে সংসার চালাব বুঝতে পারছিলাম না। তখন আশপাশের কয়েকটি আবাসনের মানুষ আমাদের খাবার এবং অর্থ দিয়ে সাহায্য করেন। তাঁদের মধ্যে এই ন’জনও ছিলেন। কিন্তু তাঁদের যে এই অভিসন্ধি ছিল বুঝতে পারিনি।”
অন্য আর একজনের অভিযোগ, দীপাবলীর দিন তাঁরা সকলে প্রদীপ জ্বালিয়ে আনন্দ করছিলেন। তখন কিছু মানুষ এসে বলেন, তাঁরা আর দীপাবলী পালন করতে পারবেন না। কারণ তাঁরা নাকি এখন খ্রিস্টান হয়ে গিয়েছেন। তাঁরা সকলে মিলে এর প্রতিবাদ করলে ওই ব্যক্তিরা ২ লক্ষ টাকা দাবি করেন। ঘরে ঢুকে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি ভেঙে দেওয়ারও চেষ্টা করেন। তার পরেই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর কথা ভাবেন অভিযোগকারীরা। পুলিশ জানিয়েছে, এই বিষয়ে তদন্ত চলছে। যথা সময়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy