হিংসা রুখতে দ্রুত ব্যবস্থা নিলেন না কেন?এই প্রশ্ন তুলে সরিয়ে দেওয়া হল উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের পুলিশ সুপার কৃষ্ণবাহাদুর সিংহকে। তাঁকে আপাতত লখনউয়ে বদলি করা হয়েছে।কৃষ্ণবাহাদুরের জায়গায় নিয়ে আসা হয়েছে সীতাপুরের পুলিশ সুপার প্রভাকর চৌধুরীকে। শুধু এসএসপি-ই নয়, তাঁর সঙ্গে বুলন্দশহরের অন্য দুই আধিকারিককেও বদলি করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
বুলন্দশহরের ঘটনা নিয়ে ক্রমশ চাপ বাড়ছে যোগী সরকারের উপরে। ঘটনার পর ছ’দিন কেটে গেলেওএখনও মূল অভিযুক্তদের ধরতে পারেনি পুলিশ। ফলে রাজ্য জুড়ে যে একটা অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে, তা আঁচ করেই শুক্রবার তড়ঘড়ি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেনরাজ্য পুলিশের ডিজি ওপি সিংহ। সেখানেই এসএসপি-কে বদলি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের হাতে রিপোর্টও তুলে দেন ডিজি।
একটা মাত্র গুজব। গ্রামের জঙ্গলে কারা নাকি গোমাংস এনে ফেলেছে। আর তাতেও জ্বলে উঠেছিল গোটা বুলন্দশহর। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দল নিয়ে ছুটে গিয়েছিলেন ইনস্পেক্টর সুবোধ কুমার সিংহ। কিন্তু পরিস্থিতি তো নিয়ন্ত্রণে আসেইনি, উল্টে আরও বিগড়ে যায়। পুলিশকে দেখে তেড়ে আসে উত্তেজিত জনতা। তাদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। সুবোধ কুমারকে তাড়া করে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। ভিড়ের মধ্যে থেকেই অনেককে বলতে শোনা যায়, ‘মারো…মারো…ওঁর বন্ধুকটা কেড়ে নাও’। তার কিছু ক্ষণ পরেই দেখা যায় পুলিশের জিপ থেকে ঝুলছেন সুবোধ। কপাল থেকে ঝরঝর করে রক্ত বেরোচ্ছে। সে অবস্থাতেই বেশ কিছু ক্ষণ পরে থাকেন সুবোধ। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় তাঁকে।