ত্রিপুরার দু’টি আসনে উপ-নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই শাসক দল ও বিরোধী দলগুলির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষের জেরে কিছু কিছু এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। শাসক দল সিপিএমের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসের’ অভিযোগ তুলেছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি।
কাল ত্রিপুরা বিধানসভার উপ-নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর দেখা যায় প্রত্যাশিত ভাবেই দু’টি আসনই শাসক দল সিপিএম দখল করেছে। সিপিএমের তরফে বিজয়োল্লাস শুরু হয় সুরমা ও প্রতাপগড় কেন্দ্রে। তার রেশ কাটেনি। এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি ও কংগ্রেসের কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ। রাজ্য-রাজনীতির কুশীলবদের বক্তব্য, সিপিএম দু’টি আসনেই বড় ব্যবধানে জিতলেও এ বারের নির্বাচনী ফলাফল সিপিএমের মাথাব্যাথার কারণ হয়েছে। কারণ প্রধান বিরোধী দল হিসেবে কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে এই দু’টি আসনেই সামনে এসেছে দক্ষিণপন্থী বিজেপি। শুধু উঠে আসাই নয়, দু’টি আসনেই বিজেপি এতটাই ভোট টেনেছে যে এই মুহূর্তে রাজ্য বিধানসভার প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের জামানতও বাজেয়াপ্ত হয়েছে। বিজেপি দু’টি আসনেই মোট বৈধ ভোটের ২৩ শতাংশ ভোট নিজেদের দিকে টেনে এনেছে। ফলে সিপিএমের সংঘাত এ বার যত না কংগ্রেসের সঙ্গে, তার থেকেও বেশি বিজেপি-র সঙ্গে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুধীন্দ্র দাশগুপ্তের অভিযোগ, সুরমা এলাকায় বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণ শানিয়েছে শাসক দল। কমলপুর থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগও করা হয়েছে বলে তিনি জানান। একই ভাবে প্রতাপগড়ের ঋষি কলোনি সংলগ্ন এলাকায় কংগ্রেসের দুই সমর্থককে শাসক দলের হার্মাদ বাহিনীর সদস্যরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। যদিও বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, দু’জনই এ বারের ভোটে তাঁদের হয়েই কাজ করেছিলেন। জখমদের চিকিত্সা করাতে হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাই নিচ্ছে না বলে অভিযোগ প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি আশিস সাহার। শাসক দলের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসের’ অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিএম। ত্রিপুরা সিপিএমের মুখপাত্র গৌতম দাস বলেন, ‘‘ফল ঘোষণার পরে কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy