অভিযুক্ত সাধু রাম শরণ। ছবি: সংগৃহীত।
ভক্তের বেশে উত্তরপ্রদেশের একটি মন্দিরে গিয়েছিল মধ্যপ্রদেশ পুলিশের একটি দল। তারা পুজো দেয়। তার পর মন্দিরের এক সাধুকে মালা পরায়। মিষ্টি খাওয়ায়। পা ছুঁয়ে প্রণামও করে। তার পরই পুলিশের দলটি জানায়, তাঁকে গ্রেফতার করতে এসেছে। এমন কাণ্ডে হতভম্ব হয়ে যান সাধুও। কিন্তু কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হল, সে বিষয়ে জানিয়েছেন এক পুলিশ আধিকারিক।
পুলিশ জানিয়েছে ওই সাধুর নাম রাম শরণ। মধ্যপ্রদেশের মোরেনায় একটি জমি বিবাদের মামলায় অভিযুক্ত। কিন্তু গ্রেফতারির ভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে উত্তরপ্রদেশের মথুরায় একটি মন্দিরে আত্মগোপন করে ছিলেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মধ্যপ্রদেশ পুলিশের একটি বিশেষ দল মথুরায় আসে। সাধু যাতে ঘুণাক্ষরে আঁচ করতে না পারেন, সে জন্য ভক্তের বেশে মন্দিরে ঢোকে ওই দলটি। তার পরই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
তদন্তকারী এক পুলিশ আধিকারিক ‘আজ তক’-কে জানিয়েছেন, সাধু রাম শরণের বিরুদ্ধে ভুয়ো ট্রাস্ট চালানোর অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই-ই নয় মোরেনার একটি মন্দির সংলগ্ন দোকান থেকে ওই ট্রাস্টের নামে টাকাও তুলতেন সাধু এবং তাঁর কয়েক জন সহযোগী। ২০২১ সালে সাধু রাম শরণ এবং তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় এক সহযোগী গ্রেফতার হলেও পালিয়ে যান সাধু। মামলাটি মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টেও ওঠে। তার পরই সাধুকে গ্রেফতার করতে একটি বিশেষ দল গঠন করে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। শুক্রবার মথুরার মন্দিরে পৌঁছয় পুলিশের দলটি। সেখান থেকেই সাধুকে গ্রেফতার করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy