Advertisement
E-Paper

জরিমানা আদায় করেই পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ

সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা জরিমানা দিয়ে ১০ দিন পর পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ নিল শিলচর পুরসভা পরিচালিত গোলদীঘি মল। মাঝের ১০দিন মলের আলো জ্বালানো, বাতানুকূল ব্যবস্থা চালু রাখা সবই করতে হয়েছে জেনারেটর চালিয়ে।

শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:১৭

সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা জরিমানা দিয়ে ১০ দিন পর পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ নিল শিলচর পুরসভা পরিচালিত গোলদীঘি মল। মাঝের ১০দিন মলের আলো জ্বালানো, বাতানুকূল ব্যবস্থা চালু রাখা সবই করতে হয়েছে জেনারেটর চালিয়ে।

অতিরিক্ত লোডের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ ২৯ লক্ষ টাকা জরিমানা করে মল কর্তৃপক্ষকে। সেই জরিমানা না মেটানোয় গত ২৫ জানুয়ারি সংযোগ কেটে দেয়। বিদ্যুত বিভাগের বক্তব্য, গোলদীঘি মলে ১ হাজার ২০৬ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহারের কথা হয়। সে ভাবেই প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। প্রতি ইউনিটের হিসেবও সেই হিসেবকে মাথায় রেখেই ধার্য করা হয়। কিন্তু ডিসেম্বরে মাপজোখ করে তারা দেখতে পান, ব্যবহৃত বিদ্যুতের পরিমাণ ২ হাজার ৯৯ কিলোওয়াট। তখনই মল কর্তৃপক্ষকে শুনানিতে ডাকা হয়। যুক্তি এবং কাগজপত্র দেখানোর জন্য ১৫ দিন সময়ও দেওয়া হয়। কিন্তু পুরসভা বা মল কর্তৃপক্ষ তাকে কার্যত পাত্তাই দেয়নি। এরপরেই জরিমানা ও লাইন কাটা হয়।

মল ম্যানেজমেন্ট কমিটি একে বিদ্যুৎ বিভাগের অন্যায় সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করেছে। তা নিয়ে তারা অ্যাপিলেট অথরিটির কাছে যাবে বলেও জানিয়েছে। তবে অভিযোগের পাশাপাশি, নিয়ম মেনে জরিমানার ৫০ শতাংশ অর্থও তারা জমা করেছে। এর পরেই আজ সন্ধ্যায় পুনরায় সংযোগের নির্দেশ দেওয়া হয়।

মল ম্যানেজমেন্ট কমিটির সচিব ও পুরসভার সদস্য রাজেশ দাসের বক্তব্য, মল উদ্বোধনের পর তখনকার পুরসভা এর পরিচালনার দায়িত্ব ছ’মাসের জন্য প্রোগ্রেসিভ ডেভেলপারস-কে দিয়েছিল। মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পর তারা বিদ্যুৎ বিভাগকে চিঠি দিয়ে সে কথা জানিয়ে দেয়। তাদের আর্জি ছিল, যাবতীয় বিল যেন শিলচর পুরসভার মল ম্যানেজমেন্ট কমিটির নামে ইস্যু করা হয়। রাজেশবাবুর অভিযোগ, আজও তাদের বিল আসে প্রোগ্রেসিভ ডেভেলপারসের নামে।

পুরবোর্ডে ক্ষমতার পালাবদলের পর বর্তমান সভাপতি নীহারেন্দ্র নারায়ণ ঠাকুর চিঠি দিয়ে বিদ্যুৎ সংস্থাকে এ কথা আবারও জানান। সঙ্গে ওয়ার্কলোড পুনর্নির্ধারণের অনুরোধ করেন। রাজেশবাবু সে চিঠির প্রতিলিপিও আজ দেখান। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগের তরফে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। এমনকী, একটি চিঠি পাঠিয়ে প্রাপ্তিস্বীকারও করা হয়নি। এরপরই আচমকা তারা লোড পরিমাপে চলে আসেন। রাজেশবাবুর দাবি, আজ যে সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা বিভাগকে দিয়ে বিদ্যুত সংযোগ আনা হয়েছে, সেই টাকা অ্যাপিলেট অথরিটির মাধ্যমে সুদ সমেত ফিরিয়ে আনা যাবে।

বিদ্যুতকর্তারা এ নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। তাঁদের বক্তব্য, মল কর্তৃপক্ষকে সমস্ত কথা নথিপত্র-সহ বলার জন্য সময় দেওয়া হয়েছিল। তখন তাঁরা তা করেননি। আপিলে গেলে সেখানেই যা বলার বলবেন। বিদ্যুত সংযোগ ফিরে আসায় মল-ব্যবসায়ীদেরও গত কয়েক দিনের উৎকণ্ঠা কাটল। আশঙ্কা ছিল, জেনারেটর বিকল হয়ে পড়লে মল বন্ধ রাখতে হবে। সে ক্ষেত্রে তাদের আর্থিক লোকসানের মুখে পড়তে হবে।

Power Electricity
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy