মীনাতাই ঠাকরে প্রসূতি সদন। ইনসেটে সানা খান। ছবি সংগৃহীত।
আধার কার্ড যে শুধু নিজের জন্য নয়, তাঁর অনাগত সন্তানের জন্যও অত্যন্ত ‘জরুরি’, তা হাড়ে হাড়ে টের পেলেন সানা খান। গর্ভাবস্থায় যে ধরনের চিকিৎসা দরকার, তার জন্য হাসপাতালে নাম লেখাতে গিয়েছিলেন সানা। কিন্তু আধার না থাকায় কিছুতেই নথিভুক্ত হচ্ছিল না তাঁর নাম। শেষে সমাজকর্মীদের হস্তক্ষেপে সুরাহা পেয়েছেন ওই চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
আরও খবর
অভিনেতা বিশালের অফিসে আয়কর হানা কি ‘মের্সাল’ এফেক্ট?
মুম্বইয়ের কুরলাতে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকেন চার মাসের প্রসূতি সানা। তাঁর স্বামী কর্মসূত্রে দুবাইয়ে থাকেন। ঘটনার সূত্রপাত গত ১০ অক্টোবর। ওই দিন বছর তেইশের সানা বৃহন্মুম্বই মিউনিপ্যাল কর্পোরেশনের আওতায় থাকা মীনাতাই ঠাকরে প্রসূতি সদনে গিয়েছিলেন আন্টে-নেটাল কেয়ার (এএনসি) পরিষেবার জন্য নিজের নাম নথিভুক্ত করাতে। কিন্তু, গর্ভবতী সানাকে সাহায্য করার বদলে হাসপাতাল তাঁকে ফিরিয়ে দেয়। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়ানোর পর সানাকে কোনও কারণ না দেখিয়েই ১৮ অক্টোবর আবার আসতে বলা হয়।
সেই মতো ফের ১৮ তারিখ ওই প্রসূতি সদনে বাবাকে নিয়ে যান সানা। এ বারও দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়ানোর পর তাঁকে বলা হয়, আধার কার্ড এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছাড়া নাম নথিভুক্ত করা যাবে না। তখন সানা সেই হাসপাতাল কর্মীকে বলেন, ওই কাগজপত্র তৈরি করতে তো মাসখানেক সময় লাগবে! তখন তাঁকে দেওয়ালির পরে যোগাযোগ করতে বলা হয়।
আরও খবর
মুসলিম ক্রিকেটার নেই কেন? জবাবে ভাজ্জি
দেওয়ালি মিটে যেতে, গত সোমবার সকালে ফের তিনি মীনাতাই ঠাকরে প্রসূতি সদনে যান। এ বার ঘণ্টা দুয়েক লাইনে দাঁড়িয়ে শেষমেশ নাম নথিভুক্তিকরণের কাউন্টার পর্যন্ত পৌঁছন। কিন্তু, জানলার ও পারে থাকা মহিলা কর্মী তাঁর কাছে ফের আধার কার্ড এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য চান। ‘নেই’ বলায়, তাঁর সঙ্গে ভীষণই খারাপ ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ। হাসপাতালের ওই কর্মীকে সানা অনেক অনুরোধ-উপরোধ করলেও চিঁড়ে ভেজেনি। শেষমেশ সানাকে হাসপাতাল থেকে ধাক্কা দিয়ে বার করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
সানা খান নামে এক চিকিৎসা প্রার্থীকে এ ভাবে অপমানিত হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরতে হয়েছে বলে জানাতে পারেন এনসিপি নেত্রী তথা সমাজকর্মী সইদা খান। এর পর তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কর্তৃপক্ষ জানান, আধার কার্ড নিয়ে কোনও নিয়ম ওই প্রসূতি সদনে নেই। কেন এমনটা হয়েছে তা-ও খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়। এর দু’ঘণ্টার মধ্যে ওই হাসপাতাল থেকে সানার কাছে ফোন যায়, চিকিৎসার জন্য ফের হাসপাতালে ডেকে পাঠানো হয় তাঁকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy