১৯৩৯ সাল। কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করছেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। ছবি: আনন্দবাজার পত্রিকার আর্কাইভ থেকে।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সংক্রান্ত ১০০টি গোপন ফাইল প্রকাশ্যে আনলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিন মাস আগে নেতাজির পরিবারের সদস্য ও গবেষকদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই গোপন নথি প্রকাশের আশ্বাস দিয়েছিলেন। গোটা দেশের রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে সেই নথি প্রকাশ্যে এল। নেতাজি সংক্রান্ত ১০০টি ফাইলের ডিজিটাল সংস্করণ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকারের কাছে থাকা নেতাজি সংক্রান্ত গোপন নথিপত্র প্রকাশ্যে আনা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল রাজনৈতিক চাপানউতোর। সেপ্টেম্বরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে থাকা ৬৪টি গোপন ফাইল প্রকাশ করে দেন। তখন থেকেই নেতাজিকে নিয়ে কেন্দ্রের কাছে থাকা গোপন ফাইলগুলি প্রকাশ্যে আনতে মোদী সরকারের উপর চাপ বাড়তে থাকে। একটি ফাইল থেকে জানা গিয়েছে, জওহরলাল নেহরুর উদ্যোগে নেতাজির কন্যা অনিতাকে এআইসিসি পেনশন দেওয়া শুরু করেছিল। বছরে ৬০০০ টাকা করে পেনশন দেওয়া হত। স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবার হিসেবেই এই পেনশন দেওয়া হত অনিতাকে। তবে ১৯৬৫ সালে নেতাজির কন্যার বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর সেই পেনশন বন্ধ হয়ে যায়। প্রথমে এই পেনশন নেতাজির স্ত্রীকেই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত সরকার। কিন্তু তিনি পেনশন নিতে অস্বীকার করায় মেয়ে অনিতার নামে পেনশন দেওয়া শুরু হয়। আরও অনেক নথি রয়েছে সদ্যপ্রকাশিত ১০০টি ফাইলে। সে সব তথ্যও একে একে সামনে আসতে চলেছে।
আরও পড়ুন:
নেতাজিকে নিয়ে টানাটানি দেখে লজ্জা করে আজকাল
আবেগ নয়, যুক্তি ও ইতিহাস সামনে আসুক
সাত দশক ধরে তথ্য গোপন আর বিভ্রান্তির অনন্ত প্রয়াস
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে শুক্রবারই বলা হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও বিদেশ মন্ত্রক যৌথ ভাবে সুভাষচন্দ্র বসু সংক্রান্ত গোপন নথি প্রকাশ্যে আনছে । যেখানে যা রয়েছে, সেগুলি একত্র করে আগেই জাতীয় লেখ্যাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকেও কিছু ফাইল পাঠানো হয়েছে। মোট ১০০টি ফাইলের সংস্কার ও ডিজিটাল সংস্করণের কাজ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়। কিন্তু এই ফাইলগুলির মধ্যে ক’টি প্রকাশ্যে আনা হবে, তা শুক্রবার কেন্দ্র জানায়নি। প্রধানমন্ত্রী শনিবার সকালে সবকটি ফাইলই প্রকাশ করে দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy