মাও-যোগ সন্দেহে ধৃত বিদ্বজ্জনদের গ্রেফতারি রদের আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ ইতিহাসবিদ রোমিলা থাপার-সহ বিশিষ্টরা। আজ বুধবারই মামলার শুনানি। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে মামলার শুনানি। পাশাপাশি গ্রেফতারির ক্ষেত্রে নিয়ম পুরোপুরি মানা হয়েছিল কি না, তা জানতে চেয়ে মহারাষ্ট্রের ডিজি এবং মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
এ বছরের জানুয়ারিতে মহারাষ্ট্রের ভীমা কোরেগাঁওয়ে দলিতদের বিজয় দিবস পালন অনুষ্ঠানে ব্যাপক গন্ডগোল হয়। ঘটনায় মাওবাদী যোগের অভিযোগ ওঠে। তদন্তে নেমে মঙ্গলবারই দেশের বিভিন্ন শহরে অভিযান চালায় পুণে পুলিশ। গ্রেফতার হন অধ্যাপক ও কবি ভারাভারা রাও, আইনজীবী ও সমাজকর্মী সুধা ভরদ্বাজ, এবং অরুণ ফেরেরা, গৌতম নওলাখা, ভার্নন গঞ্জালভেসকে গ্রেফতার করে পুণে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
এই গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করেই ইতিহাসবিদ রোমিলা থাপারের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, বাড়িতে অভিযান ও তল্লাশি এবং গ্রেফতারির ক্ষেত্রে সঠিক নিয়ম কানুন মানেনি পুলিশ। তাই এই গ্রেফতারি রদ করা হোক। মামলা গ্রহণ করেছে শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ আজ বুধবারই মামলা শুনবে।
আরও পড়ুন: ধৃত বিদ্বজ্জনদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারা, প্রশ্নের মুখে পুণে পুলিশ
আরও পড়ুন: ঠিক যেন জরুরি অবস্থা, বললেন অরুন্ধতী, প্রতিবাদ দেশ জুড়ে
অন্য দিকে, প্রাথমিক ভাবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও মনে করছে, ধৃতদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। গ্রেফতারির পদ্ধতি এবং বাড়িতে তল্লাশি অভিযানের ক্ষেত্রে পুলিশ নিয়ম কানুন মানেনি বলে মনে করছে কমিশন। সেই কারণেই কমিশনের পক্ষ থেকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যসচিব এবং ডিজিকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এক যোগে বিভিন্ন শহরে অভিযান, বাড়িতে তল্লাশি এবং গ্রেফতারির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে ওই চিঠিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy