মগজধোলাই হয়েই গিয়েছিল কিশোরীর। আর কয়েক দিনের মধ্যেই ইরান বা সিরিয়ায় যাওয়ার পাকা ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। যাতায়াত থেকে শুরু করে ডাক্তারি— সব খরচের জোগান মিলেছিল আইএসের কাছ থেকে। কিন্তু অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড (এটিএস)-র তৎপরতায় বানচাল হল সেই পরিকল্পনা, রক্ষা পেল কিশোরী। আইএসের কবলে পরা পুণের ১৬ বছরের ওই কিশোরী আপাতত এটিএসের কড়া নজরদারির মধ্যে বন্দি।
পুণেরই এক সংখ্যালঘু পরিবারে জন্ম ওই কিশোরীর। বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করা একাদশ শ্রেণির ছাত্রীর জীবন আপাত দৃষ্টিতে আর পাঁচটা সাধারণ মেয়ের মতোই ছিল। কিন্তু পার্থক্য ছিল তার সোশ্যাল সাইটের জীবনযাপনে। ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটস্অ্যাপে নিয়মিত আইএসের হয়ে সোচ্চার হতে দেখা যেত তাকে। বন্ধুর সংখ্যাও ছিল সীমিত। পুলিশের দাবি, কিশোরীর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ধৃত আইএস চর মহম্মদ সিরাজুদ্দিনের। সপ্তাহ খানেক আগেই ভারত বিরোধী কার্যকলাপের জন্য সিরাজুদ্দিন গ্রেফতার হয়েছে। তাকে জেরা করেই এই কিশোরীর খোঁজ পায় এটিএস।
পুণে এটিএসের এক কর্তা জানান, তাকে আইএসের প্রভাব থেকে দূরে রাখার সমস্ত চেষ্টা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে পরিবার এবং এলাকাবাসীর কাছ থেকেও সাহায্য চাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আর কয়েক দিন দেরি হলেই পাকাপাকি ভাবে আইএসের খপ্পরে পড়ে যেত সে। আইএস তাকে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানোর প্রলোভন দিয়েছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy